কলকাতার ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনে গ্রেফতার ৩। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই তদন্তে সাফল্য। টাকার লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। নিহত দম্পতির মেজ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ই এই খুনের মাস্টারমাইন্ড। তবে এখনও মূল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি অধরা। তার খোঁজে ভিনরাজ্যেও হানা দিতে পারে কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল।
খাস কলকাতায় ফ্ল্যাটে ঢুকে জোড়া খুনে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই এই খুন নিয়ে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছিল লালবাজারও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনায় দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করতে সব ধরনের তৎপরতা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
শেষমেশ মাত্র কয়েকদিনের মাথাতেই তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গ্রেফতার খুনে সরাসরি জড়িত ৩ জন। ধৃতদের নাম রত্নাকর নাথ, যতীন মেহতা এবং সুবোধ সিং। এই তিনজনকেই খুনে কাজে লাগিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড। তবে এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল আজ জানিয়েছেন, নিহত অশোক শাহ তাঁর মেজ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফে ওই আত্মীয় (মাস্টারমাইন্ড)-কে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সেই টাকা পরিশোধ করা নিয়েই তাঁদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন ওই ব্যক্তিও শাহদের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তাকে জল খেতে দিয়েছেলন নিহত রশ্মিতা শাহ। এরপরেই কথাবার্তার ফাঁকে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েছিল আততায়ীরা। নৃশংসভাবে খুন করা হয় অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহকে।
আরও পড়ুন- প্রথমদিনের চোখা ভাষণে অনুপ্রাণিত করার আপ্রাণ চেষ্টা! নাড্ডার বচনে জুড়বে বঙ্গ-পদ্ম?
আপাতত ৩ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হলেও মাস্টারমাইন্ড অধরা। এছাড়াও এই খুনে আরও বেশ কয়েকজনের যোগ থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। ধৃতদের জেরা করে তাদের নাগাল পাওয়ার মরিয়া চেষ্টায় পুলিশ।