জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে গ্রেফতার দু'জন। ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম এবং সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে লালবাজার। খিদিরপুরে গোপন বৈঠক করে হাওড়ায় ফিরছিলেন দুই অভিযুক্ত। খবর পেয়েই বিদ্যাসাগার সেতুতে ধাওয়া করে মহম্মদ সাদ্দাম এবং সৈয়দ আহমেদকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। উভয়েরই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডিজিটাল নথি সহ বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহম্মদ সাদ্দাম হাওড়ার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। সৈয়দ আহমেদ থাকেন শিবপুর থানার গোলাম হোসেন সর্দার লেনে। তিরিশের কোঠায় বয়স ধৃতদের। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর ছেলে মহম্মদ সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমটেক পাশ বলে খবর। আর আহমেদ কোম্পানি সেক্রেটারি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। বাবার নির্মাণ ব্যবসায় সহায়তা করে সে।
ধৃতদের নিয়েই প্রথমে শিবপুরে সৈয়দ আহমেদের বাড়িতে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। তল্লাশিতে ল্য়াপটপ, স্মার্ট ফোন সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তারপর তল্লাশি হয় মহম্মদ সাদ্দামের বাড়িতে। মেলে জেহাদি যোগের প্রমাণ। এর পরেই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে সরকারি আইনজীবীর দাবি, ধৃত দু'জনেই অস্ত্র জোগাড়ের চেষ্টায় ছিলেন। অর্থও জোগাড় করছিলেন তাঁরা। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা দরকার। সৈয়দ আহমেদের আইনজীবী দাবি করেন, তিনি একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার রেকর্ডও নেই তাঁর। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আদালত অভিযুক্ত ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম এবং সৈয়দ আহমেদকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।