চাকরি না পেয়ে শেষমেশ চায়ের দোকান খুললেন দুই ইঞ্জিনিয়ার। রাহুল আলি ও আলমগীর খান৷ দুজনেই বন্ধু, দু'জনেই বি'টেক পাশ করে চাকরির চেষ্টায় প্রাণপাত করেন, কিন্তু মেলেনি যোগ্যতা অনুসারে চাকরি। এদিকে বয়সটাও দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে। পেটের তাগিদে দুজনেই খুলে বসলেন চায়ের দোকান। এমবিএ চায়েওয়ালা, এম.এ ইংলিশ চায়েওয়ালির পর ফের সংবাদ শিরোনামে ‘বি.টেক চাওয়ালা’।
Advertisment
চায়ের দোকানের নামেও রয়েছে চমকের ছড়াছাড়ি। সমাজের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে মেলে ধরতে নিজেদের চায়ের দোকানের নাম রেখেছেন ‘বি.টেক চাওয়ালা’। কারিগরি দক্ষতা ভুলে এখন চায়ের দোকানেই মগ্ন দুই ইঞ্জিনিয়ার। এর আগে এমবিএ চায়েওয়ালা, এম.এ ইংলিশ চায়েওয়ালির পর ফের সংবাদ শিরোনামে ‘বি.টেক চাওয়ালা’।
বেহাল চাকরির করুণ অবস্থাকে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে সামনে এনেছেন এই দুই তরুণ। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা যেমন খেতে পারবেন, ভিতরে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে। চা খেতে খেতেই মিলবে আড্ডার সুযোগও। দোকানের ভিতর সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা চোখে পড়বে। আলমগীর জানিয়েছেন, পড়া শেষে সেভাবে চাকরির সুযোগ না মেলায় চায়ের দোকান খোলার ভাবনা। এক্ষেত্রে এমবিএ চায়েওয়ালা, থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা।
গত রবিবার বছরের প্রথম দিনেই নিজেদের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পিছনে রেখে পথ চলার বাস্তবতাকে সামনে নিয়েই খুলে ফেললেন চায়ের দোকান। মালদহের ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোডে কানি মোড়ে আপাতত একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান খুলেছেন তাঁরা। তাঁদের এই কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
দোকানের এমন নাম নিয়ে তারা জানালেন, "কলেজ জীবনে চায়ের দোকানে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। আজ ভাগ্যের করুণ পরিণতিতে নিজেদেরই চায়ের দোকান দিতে হয়েছে।" তবে কোনও কাজই যে ছোট না তা বোঝাতেই চায়ের দোকানের এমন নামকরণ তাও তাঁরা জানিয়েছেন। এদিকে দুই হবু ইঞ্জিনিয়ারকে চায়ের দোকান খুলতে দেখে অনেকেই তাঁদের আগামী জীবনের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি সমাজের করুণ বেকারত্বের চিত্রকে ফের একবার তুলে ধরেছেন।