Purulia Needle Case: পুরুলিয়া সূচ কাণ্ড চার বছর আগে হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। সাড়ে ৩ বছরের শিশুর শরীরে সূচ ঢুকিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিল মা এবং তাঁর প্রেমিক। সেই ঘটনার ৪ বছর পর ফাঁসি হল দুই অভিযুক্ত মঙ্গলা গোস্বামী এবং তাঁর প্রেমিক সনাতন ঠাকুরের। পুরুলিয়া জেলা আদালত মঙ্গলবার দুই অপরাধীকে খুন এবং ষড়যন্ত্রের ধারায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে চলেছে এই মামলার বিচারপর্ব।
Advertisment
সোমবার এই মামলায় মঙ্গলা গোস্বামী এবং সনাতন ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কিন্তু সেই দিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়। যদিও নৃশংস এবং বিরলতম অপরাধ দাবি করে ফাঁসির পক্ষেই সওয়াল করে সরকারি আইনজীবী। সেই দাবিকে এদিন মান্যতা দেয় আদালত।
২০১৭ সালে ওই খুদের মৃত্যু হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন সেই শিশুর এক্স-রে রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে ওঠে পুলিশ-সহ চিকিৎসকদের। দেখা যায় খুদের নিম্নাঙ্গ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় সূচ ফুটে রয়েছে । কীভাবে সেই সূচ শিশুকন্যার শরীরে ঢুকল তার সদুত্তর দিতে পারেনি মা। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। জেরায় মঙ্গলা জানায়, তিনি সনাতনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সনাতন তাঁর সন্তানের উপর অত্যাচার করেছে। এরপর সনাতনকে গ্রেফতার করে জেরা করতেই রহস্য ফাঁস হয়।
জানা যায়, ওই শিশুর মা-ই এই নারকীয়তার নেপথ্যে। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করেই পথের কাঁটা দূর করেছেন মঙ্গলা গোস্বামী। যাকে সঙ্গত দিয়েছিল সনাতন ঠাকুরও। যদিও এদিন ফাঁসির সাজা শুনেও নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে মঙ্গলা। কিন্তু নীরব ছিল সনাতন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন