বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের নেপুরা গ্রামে। ওই গ্রামে আলু জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার অত্যন্ত কম উচ্চতায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। মাটি থেকে খুব বেশি হলে ৯-১০ ফুট উঁচুতে রয়েছে এই বিদ্যুতের তার।
মৃত্যুর দায় কার?
শুক্রবার গভীর রাতে হাতি তাড়াছিল হুলা পার্টির লোকজন। প্রায় ৬০ টি হাতির একটি দল মেদিনীপুর সদর ব্লকের দেলুয়া, নন্দগাড়ি, নেপুরা, গোপগড়, কঙ্কাবতী, জামশোল প্রভৃতি গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। কয়েকশো বিঘা আলু জমি তছনছ করার পাশাপাশি ঘরবাড়িও ভাঙচুর করছিল হাতির দলটি। হুলা পার্টির লোকজন হাতির দলটিকে তাড়িয়ে লালগড়ের গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
আরো পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা পশ্চিম মেদিনীপুর
এই হাতি তাড়ানোর কাজ প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতেও হাতি তাড়ানোর কাজ হয়। আর সেই সময়ই নেপুরা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু হয়। শনিবার সকাল থেকেই মৃত হাতি দেখতে কাতারে কাতারে লোকজন ভিড় করেছেন। ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের কর্মী এবং দমকলের কর্মীরা।
মৃত হাতি দেখতে স্থানীয়দের ভিড়
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে, কারণ বিদ্যুতের খুঁটি থেকে বিদ্যুতের তার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও তারগুলিকে সোজা করার কোনো উদ্যোগ নেয় নি দপ্তর। এদিকে হাতি দুটি মারা যাওয়ার পর পরিস্থিতি যাতে অন্য দিকে না যায় তার জন্য বিদ্যুৎ কর্মীরা সকালে এসে তার সোজা করার চেষ্টা করেন কিন্তু গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে তা সম্ভব হয় নি।
বন বিভাগের আধিকারিক পূরবী মাহাতো বলেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে এবং এতে কারো গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। শুক্রবার দিনভর নিপুরা গ্রামে আলুর জমিতে তান্ডব চালায় হাতির দলটি।