শুক্রবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বকেয়া আটকানোর জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে দায়ী করেছিলেন। রাজ্যের প্রতি প্রতি বুথ-ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। ওই ঘেরাও হুমকির অভিযোগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রসরোবর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা রাজর্ষী লাহিড়ি।
মোদী সরকার বধে ২১শের সভায় বার-বার উঠেছে বিরোধীদের জোট 'ইন্ডিয়া'র নাম। মমতা থেকে অভিষেক- দাবি করেছেন ২৪যের লোকসভা ভোট জিতবে এই 'ইন্ডিয়া'। এই শব্দের প্রয়োগ তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে সঠিকভাবে হয়নি। দেশের অবমাননা হয়েছে। এই দাবি করে অভিষেকের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাথুরিয়া ঘাট স্ট্রিটের বাসিন্দা পূর্ণিমা চক্রবর্তী হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই এফআইআর দায়ের করেন।
কী অভিযোগ রাজর্ষী লাহিড়ির?
শহিদ দিবসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ব্লক থেকে শুরু করে বুথ, সব স্তরে যত বিজেপি নেতা আছে আপনাদের এলাকায়, একটা তালিকা তৈরি করুন। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করুন। তবে বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে তাঁদের ছেড়ে দেবেন।'
পরে নিজের ভাষণের মাঝে অভিষেকের ঘোষণা সংশোধন করে দেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। বলেন, 'বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে, কিন্তু বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে করবে। ইলেকশনে যেমন ১০০ মিটার দূরে ক্যাম্প হয়। যাতে কেউ বলতে পারবে না অবরুদ্ধ করা হয়েছে।'
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি সংশোধন করেছে। কিন্তু বাস্তবে ওই কর্মসূচির ফলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। বিজেপি নেতাদের হেনস্থার মুখে পড়তে হতে পারে। অভিষেকের ঘোষমা আইন বিরুদ্ধ। তাই অশান্তি ঠেকাতেই এইআইআর দায়েরের মতো পদক্ষেপ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের এইআইআরে জানানো হয়েছে যে, দেশের সম্মান, প্রগতি-কে হেয় করতেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের তরফে একাধিকবার 'ইন্ডিয়া' শব্দের ব্যবহার হয়েছে। যা অত্যন্ত বিরক্তের ও দেশের অসম্মান। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।