Advertisment

নার্সের কব্জি কেটে দিব্যি ঘুম, বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, নাটকীয় গ্রেফতারিতে শোরগোল

কেতুগ্রামে নার্স রেণু খাতুনের কব্জি কাটার নৃশংস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Two more are arrested in attack of east burdwan's ketugram nurse renu khatun

নার্স রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২। ছবি: প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।

কেতুগ্রামে নার্সের কব্জি কাটার নৃশংস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থেকে পুলিশের জালে আশরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ নামে দুই যুবক। ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষেছিল ধৃতরা। তবে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হানা পুলিশের। ভোররাতে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের দফায়-দফায় জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি।

Advertisment

শুধুমাত্র সন্দেহের বসেই স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিল স্বামী। রোমহর্ষক এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুনের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে কার্যত বাকরুদ্ধ সমাজের বিভিন্ন মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রেণুর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিন কয়েক আগেই মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী সরিফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় রেণুর শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবিকেও। যদিও গ্রেফতারির পরেই রেণুর শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবি আদালতে দাবি করেন, যে তাঁরা নির্দোষ। ঘটনার দিন রাতে তাঁরা আলাদা ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। পাখা চলার শব্দে পুত্রবধূর চিৎকার তাঁদের কানে আসেনি বলে জানান তাঁরা। যদিও বিচারক দু'জনকেই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন- খিচুড়ির পাতে কিলবিল করছে সাপের বাচ্চা, শিশুদের খাইয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়ার জোগাড়!

নৃশংস এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত থাকার সন্দেহ আগেই করেছিল পুলিশ। এবার ধৃত সরিফুল ও তাঁর বাবা-মাকে জেরা করে আবারও সাফল্য এল। রেণুর উপর হামলার ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদে ঘাপটি মেরে রয়েছে বলে জানতে পারে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবারই কেরলে পালানোর ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। ওই দুই যুবক কেরলে শ্রমিকের কাজ করে। তবে শেষ রক্ষা হল না।

ভোররাতেই তাদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে আশরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক যুবক রেণুর মুখ বালিশ দিয়ে চেপে রেখেছিল। অন্যজন রেণুর হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ বসায়। স্ত্রীর উপর হামলার জন্য এই দু'জনকেই টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে এনেছিল সরিফুল।

West Bengal West Bengal Police East Burdwan Nurse
Advertisment