বাংলায় বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফের দু'জনের শীরের মিলেছে মারণ জীবাণু। এদের দু'জনেরই বিদেশ-যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একজন ফিরেছিলেন মিশর থেক। অন্যজন, ব্রিটেন থেকে বাংলায় ফিরেছিলেন বলে খবর। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাইসেডে এই দু'জনেরই লালারস পরীক্ষা হয়। প্রথম পরীক্ষাতে কোরোনার জীবাণু মিলেছে। দ্বিতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট আজই মিলবে।
এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ন'জন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: অতিমারীর পর্যায়গুলি কী কী?
সোমবারই দেশের প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয় বাংলায়। কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতলে মৃত্যু হয় দমদমের বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রৌঢ়ের। ফলে আতঙ্ক ও উদ্বেগের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে, গত শনিবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন ওই প্রোঢ়। দু'বার করোনা পরীক্ষার পরই স্পষ্ট হয় ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে। তাঁর পরিবার প্রথমে দাবি করেন কোনও বিদেশ ভ্রমণ করেননি ওই প্রৌঢ়। বিদেশ থেকে আগত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শেও যাননি তিনি। তবে, সর্বদল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মৃতের ইতালি-যোগের কথা বলেছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে, ইতিমধ্যে কলকাতা সহ রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে। মহামারি আইনে জারি এই নির্দেশিকা লংঘন করলে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রও বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কেউ লকডাউন ভাঙলে হাজার টাকা জরিমান বা ছয়'মাসের জেল হবে। নিজের ও পরিবারের স্বার্থে নিয়ম মানার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। তবে, সচেতনতার অভাবে বহক্ষেত্রেই লকডাউন আগ্রাহ্যের প্রবণতা মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোমবার রাত পর্যন্ত লকডাউন ভেঙে গ্রেফতারের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো।