Advertisment

নিমতা হত্যাকাণ্ড: আটক আরও দুই, ঘাতক অস্ত্রের খোঁজে পুলিশ

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ২০ থেকে ২২ কিমি প্রতি ঘন্টায় চলা দেবাঞ্জনের গাড়ির বাইরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নিমতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বন্দুকের তল্লাশি শুরু পুলিশের। অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস

উত্তর চব্বিশ পরগণার নিমতায় দেবাঞ্জন দাসকে খুনের ঘটনায় সোমবার আটক করা হল আরও দু'জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, দশমীর দিন রাতে দেবাঞ্জন দাসকে হত্যার জন্য যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা খুঁজে পেতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ২০ থেকে ২২ কিমি প্রতি ঘন্টায় চলা দেবাঞ্জনের গাড়ির বাইরে থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়। এই ঘটনার পর শনিবারই প্রিন্স সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই ঘটনায় সোমবার আটক করা হয় সন্দীপ দাস এবং অভিজিৎ মণ্ডলকেও। পুলিশ জানতে পারে, যাদের আটক করা হয়েছে, সেই সন্দেহভাজনরা প্রিন্স সিংয়ের সাথে পরিচিত।

Advertisment

আরও পড়ুন- জামিনের পরেই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা সন্ময়

সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে তদন্তকারী অফিসাররা দেবাঞ্জন দাসের খুনে ব্যবহৃত বন্দুক এবং এর মালিককে খুঁজছেন। পুলিশের অনুমান, বন্দুকের মালিক অবধি পৌঁছনো গেলেই সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। পুলিশের সন্দেহ, দেবাঞ্জন খুনের নেপথ্যে রয়েছে দেবাঞ্জনের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স সিং। পুলিশ জানতে পারে, দেবাঞ্জন প্রিন্স সিংয়ের স্কুলের জুনিয়র ছিল। কিন্তু প্রিন্স যখন দেখেন ৭ অক্টোবর দেবাঞ্জন তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে সল্টলেকের একটি পাব-এ ঢুকছেন, তখন সে বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, "এখনও পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়।" প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রাথমিকভাবে দেবাঞ্জন দাসের মৃত্যুকে দুর্ঘটনার মামলা বলে চিহ্নিত করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেবাঞ্জনের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া যাওয়ার পরই খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আরও পড়ুন- অর্ডার দেওয়া চপার দিয়ে নিপুণভাবে খুন, গামছায় মোছা রক্ত!

ইতিমধ্যে এই খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজের কাছে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রিন্সকে। ব্যারাকপুর আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আইনজীবি ব্যারাকপুর আদালতের কাছে আবেদন জমা দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, দেবাঞ্জন দাসের হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য এবং এই হত্যাকাণ্ডে আর কে কে যুক্ত ছিল তা জানতে প্রিন্সকে পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

Read the full story in English

Murder West Bengal
Advertisment