রুম এবং শৌচাগার, দু'জায়গায় গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ।
Maldah: শৌচাগারে রাখা গোপন ক্যামেরায় কলকাতার এক দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তোলার অভিযোগ। মালদা শহরের এক নামজাদা হোটেলের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই হোটেল মালিকের ছেলেকে প্রথমে আটক করা হলেও, পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এই ঘটনায় ধৃত দু’জনকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি রবিবার রাতে মালদা শহরের কৃষ্ণকালিতলা এলাকার। যদিও মালদা হোটেল ওনার্স সংগঠন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Advertisment
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে রবিবার বিয়ের আসর বসেছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী দম্পতি। হোটেলের ৩০৯ নম্বর ঘর ওই দম্পতিকে দেওয়া হয়েছিল। একটু রাতে বিয়ের পর্ব শেষ হওয়ার পর অতিথিরা নিজস্ব রুমে ঢুকে পড়েন। সেই সময় কলকাতার ওই দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছিল। এমনটাই পুলিশের কাছে অভিযোগ।
ঘটনাচক্রে কলকাতার ওই ব্যবসায়ী শৌচাগারে রাখা গোপন ক্যামেরা থাকার বিষয়টি জেনে ফেলেন। এরপর শুরু হয়ে যায় হোটেলে গোলমাল। রাতে খবর পেয়ে ছুটে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে হোটেল মালিকের ছেলে-সহ তিন জনকে আটক করা হলেও। পরে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার মূল অভিযোগকারিণী ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা ওই হোটেলে উঠেছিলাম । সেখানে ৩০৯ নম্বর রুম ভাড়া নিয়েছিলাম। যখন আমরা বিয়ের পর্ব শেষ করে ঘরে ঢুকি, তখনও বিষয়টি জানতে পারিনি। শৌচাগার ব্যবহারের সময়ও আমরা বুঝতে পারিনি। পরে আমার স্বামী বাথরুম এবং ঘরে গোপন ক্যামেরা থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই আমরা অন্য আত্মীয়দের সাহায্যে সরাসরি পুলিশকে বিষয়টি জানাই। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘এই ঘটনায় সাগর কুমার এবং আরও একজনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পারি। গোটা ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের মদত রয়েছে। এমনকি, এভাবে মহিলাদের গোপন ক্যামেরায় ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করা হয়।‘
Advertisment
দেখুন মহিলার করা অভিযোগের অংশ। ছবি: মধুমিতা দে
দম্পতির দাবি, ‘এই অভিযোগ কলকাতা পুলিশকে জানানো হবে। যারা এই ঘটনাটিকে যুক্ত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।‘ এদিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে। মালদা হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি । তবে যে অভিযোগ কলকাতার ওই দম্পতি করেছে ভিত্তিহীন। ওরা পাত্রপক্ষ ছিল। এখানে বিয়ের জন্য এসেছিলেন। বিয়ের পর হোটেলের ডাইনিং প্লেসে নাচানাচি চলছিল । সেই সময় কেউ একজন মোবাইলে নাচ-গানের ছবি তুলছিলেন । আর সেই ঘটনা ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল। এখানে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোন দোষ নেই। আর যে গোপন ক্যামেরা হোটেলরুমে রাখার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । যারা বিয়ে বাড়ির ছবি তুলছিল তারা বাইরে থেকে হোটেল রুম নিয়ে ভাড়া ছিল। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।‘