আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় ২জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার নবান্নে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে ও কড়া পদক্ষেপ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এরকিছুুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, 'অনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ান প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই দু'জনকে কোর্টে পেশ করা হবে। সিটকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। আমাদের আবেদন, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হোক। ১৫ দিনের মধ্যে সিট তদন্ত রিপোর্ট দিতে সংকল্পবদ্ধ।' অর্থাৎ আনিসকে যে খুন করা হয়েছে তা মেনে নিল পুলিশ।
এদিন নান্নে শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমতায় সবে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিট দ্বিতীয়বার দেহ ময়নাতদন্ত করতে গেলেও পরিবারের লোকেরা অনুমতি দেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে ওরা একটা অভিযোগ করেছেন। আমি নিরপেক্ষা তদন্ত করতে বলেছি। ২জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা হবে। কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
তিনি নিরপেক্ষ তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নন বলেও সাফ জানিয়েদেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'আইন আইনের মতো চলবে। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিন। দোষ করলে কড়া ব্যবস্থা হবে।'
আরও পড়ুন- SIT-র আর্জি খারিজ আনিস খানের বাবার, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে ‘না’
রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, সিটের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে আনিস খুনের ঘটনার সময় আমতা থানার দুই পুলিশকর্মী জড়িত। তাই ওই দু'জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ জনকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়। এর থেকে বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব নয়।
এদিকে আনিস খানের মৃ্ত্যুর প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতায় বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়ে মিছিল করে জামিয়ার পড়ুয়া ও বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। মিছিল ঘিরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের যান চলাচল। যা নিযে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'কাল শহর অবরুদ্ধ হয়েছিল। ওনেকেই ডিস্টার্ব ফিল করেছেন। বিমান ধরতে পারেননি অনেকেই। কিছু ঘটলেই সরকার পদক্ষেপ করছে। তাই কিছু হলেই আন্দোলেনর নামে কলকাতায় বিক্ষোভ বন্ধ হোক।'
এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, 'নন্দীগ্রাম, নোবেল চুরি, কঙ্কালকাণ্ডে তৎকালীন সরকার কী পদক্ষেপ করেছিল? হাতরাসে কী হয়েছিল? সরকারকে দুর্বল ভাববেন না। আইন সবার জন্য এক। বাংলাকে আঁছড়াতে, কামরাতে দেব না।'