টানা সাত দিন কারাবাসের পর মঙ্গলবার সকালে জেল থেকে ছাড়া পেলেন মালদার দুই নির্যাতিত আদিবাসী মহিলা। জেল থেকে ছাড়া পেতেই দুই নির্যাচতিতাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। মঙ্গলবার মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। নতুন শাড়ি, ফুলের মালা এবং কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে মালদার দুই নির্যাতিতা মহিলার হাতে। উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী মধুময় সরকার।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে বলা হয় যে, 'আমরা ব্যাপারটি নিয়ে কোনও রাজনীতি চাই না, মানুষের মানবিকতা বোধ ফিরে আসুক আমরা এই কামনাই করি। আর কোনও মাকে যেন প্রকাশ্য রাস্তায় নির্যাতিত না হতে হয়। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।'
মালদায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর দোষীদের গ্রেফতার না করে ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খাতায় কলমে পুলিশ দেখায় যে, পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করার অপরাধে দুই আদিবাসী নির্যাতিতা মহিলাকে জেলে পাঠানো হচ্ছে। খবর জানাজানি হতেই চাপে পড়ে যায় পুলিশ। পরে দুই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তারপর গত সোমবার মালদা জেলা আদালত দুই নির্যাতিতা বন্দির জামিন মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তাঁরা। এরপর মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা এই দুই মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।
সংবর্ধনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, 'মা আর কাকিমা হাটে লেবু আর শুঁটকি মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। হাটের মানুষজন দু'জনকে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করে। এটা অন্যায়। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। মিথ্যা মামলায় মা ও কাকিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর চাপে পড়ে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। ওদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত।'