দু বছর আলোচনার পর, অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হলেন কেন্দ্রের অনুরোধ মানতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তিনশো একর জমি চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে, বাংলাদেশ বর্ডার বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য। শুক্রবার এই জমির আবেদন মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে এবং চোরাচালান রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারকে আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছিল কেন্দ্র।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, রাজনাথ সিং মমতাকে চিঠি লিখে রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের দ্বারা জমি দানের প্রক্রিয়া তরান্বিত করার আবেদন জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে, যার মধ্যে ২,২১৬ কিলোমিটার পরে পশ্চিম বঙ্গে। উত্তর প্রদেশ, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীদেরকেও একই চিঠি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সরকারী সূত্রে আরও জানা যায়, এতে রাজ্যগুলিতে জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত সমস্যারও সমাধানসূত্র মিলবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপিকে টেক্কা দিতে ব্রিগেডে মঞ্চ বাঁধার পরিকল্পনা বাম শিবিরের
মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট চেক পোস্টগুলিতে যে সাতটি অনুমোদিত প্রকল্প ছিল, তার মধ্যে পাঁচটিই ভালভাবে শেষ হয়েছে। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের রাক্সৌল ও যোগবানী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল ও আগরতলা, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের আট্টারি চেক পোস্টগুলি অনেক বেশি মসৃণ হয়েছে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মোরহে ICP ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকি ICP তে কাজ মোটের ওপর শেষ হয়ে এসেছে। বিবৃতিতে বলা আছে, সাতটি ICP-র জন্য অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৭০০ কোটি টাকা।
কর্মকর্তাদের হিলি, জয়গাঁও, মাহাদিপুর, ছাংড়াবান্ধা, ফুলবাড়ি, রুপাইডিহা, কাওয়ারপুইছুহা, পানিটঙ্কি, সুতারকান্দি, সুনৌলি, বানবাসা এবং ভিটামোরে আরও ১৩ টি আইসিপি বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী টার্মিনাল তৈরির কথাও বলেছেন।
Read the full story in English