এক তরুণীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে দুই যুবককে বেধড়ক মার স্থানীয়দের। প্রথমে ধাওয়া করতেই বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা দুই ইভটিজারের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয়রা চেপে ধরতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দুই যুবকের কাছে মেলে গুলিভর্তি পাইপগান। বন্দুক কেড়ে এরপর বেধড়ক মারধর চলে দু'জনকে। শেষমেশ দু'জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি মালদহের চাঁতোলের কালীগঞ্জ এলাকার।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম মনসুর রহমান ও তফিজুল শেখ। তাদের বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। চাঁচালের কালীগঞ্জে পথচলতি এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছিল ওই দুই যুবক। ওই তরুণী চিৎকার শুরু করতেই জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। বাইকে থাকা দুই যুবককে ধাওয়া করেন এলাকার মানুষজন।
পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক নিয়ে রাস্তার পাশেই উল্টে পড়ে যায় দুই যুবক। এরপরই তাদের কাছে মেলে আগ্নেয়াস্ত্র। যুবকদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মেলায় রীতমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কয়েকজন। তবে এরই মধ্যে আরও কয়েকজন বন্দুক কেড়ে নিয়ে দু'জনকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনার খবর পৌঁছোয় চাঁচোল থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। দুই যুবককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে একটি গুলিভর্তি পাইপগান ও দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি বাইক।
আরও পড়ুন- ‘দেরিতে মামলা, কিছুই করার নেই’, ট্যাবলো-মামলায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে ওই দুই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল তা তদন্ত করে দেখা হবে। দু'জন কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও দেখা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও থানায় এর আগে কোনও অভিযোগ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চাঁচোলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল জানিয়েছেন, ইভটিজিং এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।