ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল যাদবপুর। জবাব তলব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল ইউজিসি-কে। কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট কমিশন। এই দাবি করে যাদবপুরের সব উপাচার্য অমিতাভ দত্ত জানিয়েছিলেন বুধবার ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। কিন্তু শুক্রবার দেখা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জবেব মোটেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। মোট ১২টি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কাছে মেল পাঠিয়েছে ইউজিসি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, র্যাগিং ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ হয়েছিল যাদবপুরে, মূলত সেই সম্পর্কিত তথ্য ও নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইউজিসি-র সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না? হেল্পলাইন নম্বর খোলা ছিল কিনা? আদৌ সেই নম্বর নতুন পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল কিনা? তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই ইমেলে। র্যাগিং-এর শিকার হলে পড়ুয়াকে কী করতে হবে? তা নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব তলব করা হয়েছিল। ব়্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে কী শাস্তি হতে পারে সে ব্যাপারেও জানানো হয়েছিল কিনা সেটাও জানতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘র্যাগিং-নেশার আসর সব জেনেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি’, বিস্ফোরক হস্টেলের সুপার
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, ইমেলের উত্তর খতিয়ে দেখার পর ইউজিসি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ফের তলব, যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টস-কে ডেকে পাঠাল লালবাজার, খবর সূত্রের
গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হস্টেলে র্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।