তাঁর শরীরের বাঁদিকটা ক্রমশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে বলে দিন চারেক আগে জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)। সেই কথা শোনার পরে জেলের চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি ধৃত মন্ত্রীকে গিয়ে দেখভাল করেন। বালু'র স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রিপোর্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে 'আনফিট' বলে জানিয়েছেন জেলের চিকিৎসক। এদিকে, বৃহস্পতিবারই শে, হচ্ছে রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চার দিনের জেল হেফাজত। এদিন ফের তাঁকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রী তো অসুস্থ, কীভাবে তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, মন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংকট দেখা দেওয়ায় এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সশরীরের ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। সম্ভবত ভার্চুয়ালভাবে মন্ত্রীকে পেশ করা হতে পারে। তাও সম্ভব না হলে মন্ত্রীর আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন- পার্থ-বালুরা জেলে, কষ্ট হয়? নাকি রাগে তেতে ওঠেন? সোজাসাপ্টা উত্তর শোভনদেবের
রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশির দিনই তাঁর শীররিক অবস্থা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ইডি-সিবিআইকে নিশানা করে দিয়েছিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। এরপর মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু থেকেই নিজের অসুস্থতার কথা বলে এসেছেন বালু। গ্রেফতারের পর তিনি আদালতে সংজ্ঞাও হারান। এরপর চারদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসা হয়।
সেখান থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইডি হেফাজতে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল বালুর। তবে তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, ইডি হেফাজতে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর ইডি হেফাজতের শেষের দিকে, জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন যে, তাঁর শরীরের বাঁ দিকটা ক্রমশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। পরে তাঁর জেল হেফাজত হয়। নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।