ইয়াস থেকে বাঁচলেও সংক্রমণ শঙ্কা! ত্রাণশিবিরে করোনা বিধি নিশ্চিত করতে নবান্নকে চিঠি

আম্ফান বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়েই কোমর বেঁধে নামছে নবান্ন।

আম্ফান বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়েই কোমর বেঁধে নামছে নবান্ন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Cyclonic Storm Yaash, odisha, Bengal, Nabanna, Bay of Bengal, Andaman Sea

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের সচিব। চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ঝড় মোকাবিলা করার জন্য আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে জনস্বাস্থ্য বিভাগকে। জরুরি ভিত্তিতে খুলতে হবে কন্ট্রোল রুম। তৈরি করতে হবে কমান্ড সিস্টেম। উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতে হবে।

Advertisment

সেই চিঠিতে উল্লেখ, উপকূল থেকে যাদের নিরাপদে ত্রাণ শিবিরে সরানো হবে, তাদের জন্য কোভিড বিধি নিশ্চিত করুক রাজ্য। বদ্ধ জায়গা বা একসঙ্গে আরেকজনকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। জরুরিভিত্তিতে ওষুধ, জল, অক্সিজেন ও শুকনো খাবার মজুত রাখতেও রাজ্যগুলোকে আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। এদিকে, ঝড় মোকাবিলায় তৎপর দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয়দের।

পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে মৎস্যজীবীদের তটে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিঘা,কাকদ্বীপ ও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায়। বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলা এবং পানীয় জলের সরবারহ নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আম্ফান বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়েই কোমর বেঁধে নামছে নবান্ন।

এদিকে, কন্ট্রোল রুম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। শেষ পাওয়া খবরে, ২৬ মে অর্থাৎ আগামী বুধবার সকালেই বাংলা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। এখনও পর্যন্ত তার অভিমুখ বাংলা-ওড়িশা উপকূল।

Advertisment

যদিও ল্যান্ডফলের আগে মঙ্গলবার থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অল্প থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ফাঁকা এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বৃহস্পতিবার জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে আগামী ২২ মে নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। ওই নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে ২৪ মে-র মধ্যে। তার পর সেটি ছুটে আসবে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তা থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া এবং স্থলভূমিতে আছড়ে পড়়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাতাসের গতিবেগ কেমন থাকবে, তা-ও জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

২৩ মে-তে আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। ২৪ মে ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়ানোর পর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের উত্তরে এবং ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কাছে এসে তার গতি কিছু কমলেও বুধবার থেকেই ফের তা বাড়তে শুরু করবে, জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

Odisha Coast West Bengal