মনোনয়নের শেষ দিনেও রণক্ষেত্র ভাঙড়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ছে ভাঙড় ২ নম্বর বিডিও অফিসের বাইরে। গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ বহু আইএসএফ কর্মী বলে অভিযোগ উঠছে। ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতের মাথায় গুলি লেগেছে। জ্বালানো হয়েছে বাইক, গাড়ি, দোকান, বাড়ি। তুমুল উত্তেজনা গোটা বিজয়গঞ্জ বাজার অঞ্চলে। কিন্তু, কার্যত পুলিশ শূন্য অঞ্চল। কোনও মতেই হিংসা কবলিত এলাকায় ঢুকতে পারছে না উর্দিধারীরা।
সংবাদ মাধ্যমে ধরা পড়েছে বোমা, গুলির দৃশ্য। কিন্তু পুলিশ নীরব কেন? এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, দুষ্কৃতীদের দেখা যাচ্ছে না। তাই তাদের পক্ষে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। মাঝে মধ্যে অবশ্য কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে পুলিশ।
ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে আইএসএফকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনোনয়নের গত কয়েকদিনে মত এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। সকালে সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সিপিএমের কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।