নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই শীর্ষ আদালতের নির্দেশই কার্যকর থাকবে। এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ আগামী ২৪ এপ্রিল। সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সোমবার সওয়াল করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
গত ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে দলের ছাত্র-যিবদের সভায় অভিষেক বলেছিলেন, অভিযুক্তরা যাতে তাঁর নাম নেয় সেজন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের উপর চাপ তৈরি করছে। প্রমাণ স্বরূপ মঞ্চ থেকেই কুণাল ঘোষ ও মদন মিত্রের নাম নিয়েছিলেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর পরদিনই কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেকের সুর শোনা যায়। কুন্তল দাবি করেন, দুর্নীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা তার উপর চাপ দিচ্ছেন।
এরপর জেল থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে চিঠিও লিখেন কুন্তল ঘোষ। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক এবং কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবেন ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এমনকী মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদও করা যেতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই মামলার শুনানির পর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল সু্প্রিম কোর্ট।