মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে জোর শোরগোল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, নবান্নের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা সহ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। স্থির হয়েছে, নবান্নে মোবাইল নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে যেসব পুলিশ কর্মীরা থাকবেন তাঁরাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
এচাড়াও ঠিক হয়েছে যে, নবান্নেও নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হবে। রাজ্য সরকারের সদর দফতরের কোনও অফিসে সরকারি কর্মী সহ কেউ-ই মোবাইল নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় নাম নথিভুক্তকরণের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির দেওয়ালও আরও উঁচু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার নবান্নের ফটক পরিদর্শন করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
গত শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা। হাই সিকিউরিটি জোনে প্রায় সাত ঘন্টা ছিলেন তিনি। আপাতত সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু লুকিয়ে থাকাই নয়। জামার নীচে লোহার রড লুকিয়ে মমতার বাড়িতে ঢুকেছিল হাফিজুল। তাহলে কি নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর? মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ সামনে আসে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি এবং তাঁর প্রদান কার্যলায় নবান্নের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত হল।