সেমি স্পিড 'বন্দে ভারত'কে কেন্দ্র করে বাংলায় হইচই পড়েছে। কম সময়ে এবার বাঙালি পৌঁছে যাবে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। আরামদায়ক এই ট্রেন সওয়ারে প্রথম সপ্তাহেই উৎসাহের অন্ত নেই। কিন্তু, সবটাই যে ষোলো আনা বাঙালিয়ানা তা নয়। তাল কাটছে আমিষ পদে। প্রশ্নের মুখে খাবারের মান।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এসি চেয়ার কারের ক্ষেত্রে খাবার-সহ টিকিটের ভাড়া রয়েছে ১৫৬৫ টাকা। একজিকিউটিভ চেয়ারের ভাড়া ২৮২৫ টাকা। এসি চেয়ারের ক্ষেত্রে খাবার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩৭৯ টাকা। আর এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে খাবারের দাম পড়ছে ৪৩৪ টাকা।
অভিযোগ, ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের থেকে অনেকটা বেশি হলেও বন্দে ভারতে খাবারের মান সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে মাছের টুকরোর আয়তন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা। এমনকী প্রিমিয়াম ট্রেনের অন্যান্য খাবারের স্বাদ নিয়েও ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বন্দে ভারতের যাত্রা নিয়ে ইউটিউবে ব্লগের ছড়াছড়ি। সেখানেই উঠে এসেছে ভারতীয় রেলের গর্ব বন্দে ভারতের খাবারের মানের অবস্থা। একটি ব্লগে দেখা যাচ্ছে, যাত্রীর কড়ে আঙুলের থেকেও ছোট ভাজা মাছের টুকরো পরিবেশন করা হয়েছে। তুলনায় বেশ বড় ফয়েল প্যাক খুলতেই মাছের টুকরো দেখে মেজাজ সপ্তমে উঠছে। কেউ কেউ আবার মজা করে বলছেন, 'মাছ নিয়ে বাঙালির সাথে বিশুদ্ধ চ্যাংড়ামো'।
যাত্রীদের ক্ষোভের কথাই শুক্রবার টুইটারে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতা কৃষাণু মিত্র। রীতিমত ছবি সহ কটাক্ষের সুরে তিনি লিখেছেন, 'প্রিমিয়াম বন্দে-ভারত ট্রেনে বাঙালীর প্রিমিয়াম মাছভাজা। এত টাকা দিয়ে টিকিট কেটে খাবার পাবেন এইরকম।'
এদিকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত শুরুর প্রথম সপ্তাহেই প্রিমিয়াম এই ট্রেনের গায়ে 'লেট' তকমা লাগল। শুক্রবার দুপুরে এনজিপি থেকে নির্ধারিত সময়ের থেকে এক ঘন্টারও বেশি দেরিতে ছাড়ল হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফলে ক্ষোভ ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। ইন্টার-লকিংয়ের কাজ চলার কারণে ট্রেনটিকে বেলাকোবা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। আর তার জেরেই দেরি বলে রেল সূত্রে খবর।
এদিন দুপুরে ৩.০৫ মিনিটের বদলে বিকেল ৪.০৮ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়ে হাওড়াগামী বন্দে ভারত। যাত্রীদের অভিযোগ, আগে থেকে কোনও ঘোষণা ছাড়াই ট্রেনটিকে দেরি করানো হয়। ফলে হাওড়া পৌঁছে অনেক যাত্রীকেই সমস্যায় পড়তে হবে।
আরও পড়ুুন- কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, ‘মেজ বোন’কে দেওয়া কথা রাখছেন মমতা, জানালেন ‘দিদি’র ভাই