যাত্রাশুরুর প্রথমদিনই পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এবার পাথর পড়ল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। মালদার কাছে পাথরের আঘাতে ভাঙল সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের কাচ। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে ট্রেন চলা বন্ধ হয়নি। কে বা কারা করল এই কাজ তা খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ফেরার পরে মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিকেল ৫.১০ মিনিট নাগাদ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সি-১৩ কামরা। ট্রেনের কাচ ভেঙে যায়। তার মধ্যেই ট্রেনটি মালদা স্টেশনে এসে পৌঁছয়।
এই ট্রেনটিই আবার আজ, মঙ্গলবার ভোরে ফের নিউ জলপাইগুড়ির দিকে রওনা হয়েছে। কিন্তু সি-১৩ কামরার ভাঙা কাচ ঠিক করা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। তবে এই পাথর ছোড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল আধিকারিকরা। নির্ধারিত এই রুটেই সপ্তাহের ৬ দিন চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "আগেও বলেছি, কাশ্মীর শুধরে গেছে। বাংলা কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। দেশবিরোধী শক্তি এ রাজ্যে এত সক্রিয়, এখানকার সরকার সেই শক্তিকে মদত দিচ্ছে। পার্লামেন্টে যখন সিএএ পাশ হল, তখন বিরোধিতা অনেক রাজ্যে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তিনদিন ধরে উৎপাত হয়েছে। আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। যার সিংহভাগ রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে এই রাজ্যের একাংশ শত্রু সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে। দেশের সংবিধানকে তারা শত্রুপক্ষের সংবিধান বলে মনে করছে। তারা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পাশে আছে। পুলিস এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।"
পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, "মানুষের বুদ্ধি ভ্রষ্ট হলে এরকম কথা বলে। কমপক্ষে ঘটনার নিন্দা তো করুক। এদের সুর শুনে বোঝা যায়, নেপথ্যে কোনও ব্যাপার আছে।
আরও পড়ুন বন্দে ভারতে খোদাই গেরুয়া ‘নামাবলী’, ‘ধন্দে’ ক্ষোভে ফুঁসছে নেটপাড়া