ভোট মিটতেই আমজনতার পাতে ভয়ের ভোজ! অগ্নিমূল্য বাজার, দামের ছ্যাঁকায় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের।
লোকসভা ভোট মিটতেই অগ্নিমূল্য কাঁচা আনাজ থেকে সবজি। দাম শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ মধ্যবিত্তদের। চোখ রাঙাচ্ছে আলু। দামের নিরিখে শহরের সমস্ত বাজারে পেঁয়াজকে রীতিমতো টেক্কর দিচ্ছে আলু। ব্যবসায়ী মহলের একটা অংশ ভোটের কারণে দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
খুচরো বাজার তো বটেই পাইকারি বাজারেরও একই হাল। সেখানেও আলুর দাম চড়া। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আগামী দিনে আলুর দাম আরও বাড়তে চলেছে। কিছু অসাধু চক্রের জেরেই বাজারে আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে আসছে না বলেও অভিযোগ করেছেন বহু ব্যবসায়ী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হেঁশেল টানতে নাজেহাল এমনই অবস্থা আমবাঙালির। গৃহস্থের বাজার বাজেটে রীতিমতো ত্রাহি রব।
বাজারে গেলেই মালুম হচ্ছে, প্রায় সব সবজির দামই কিলো প্রতি পঞ্চাশ টাকার বেশি। সবজির বাজারে এমন অস্বাভাবিক দামে সংসার টানতে হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারগুলির পরিস্থিতি একই রকম। সবজি কিনতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ফেলতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের। তার মধ্যে কাঁচা সবজির অগ্নিমূল্য কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাঁদের।
আরও পড়ুন : < Child Trafficking: বিরাটিতে ধুন্ধুমার! লোকাল ট্রেনে বাজারের থলিতে শিশু, পাচারের অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে >
ব্যবসায়ীর মতে, পাইকারি বাজারে আলু মজুত করে রাখা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। হিমঘরে যথেষ্ট পরিমাণ আলু মজুত থাকলেও, তা বাজারে আসছে না বলেই দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আদার দাম কাঁদিয়ে ছাড়ছে। কোনও কোনও বাজারে রান্নায় অপরিহার্য্য এই উপাদান তিনশো থেক সাড়ে তিনশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চোখে সর্ষে ফুল দেখছে বহু সাধারণ পরিবার।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক আনাজের দামের তালিকা
-আলু প্রতি কেজি ৩৫-৪৫ টাকা
-টমেটো প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা
-করোলার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা
-কাঁচালঙ্কা ১৫০-২০০টাকা প্রতি কেজি
-কুমড়োর প্রতি কেজির দাম ৩০-৪০
-রসুনের কেজি রয়েছে ৩০০ টাকা
-আদার দাম রয়েছে ৩০০-৪০০ টাকা
-ঝিঙে বিকোচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে
-শশার কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিকোচ্ছে।
-পেঁয়াজ ৪০-৬০টাকা।
-বেগুন ৮০-১৫০ টাকা।
আরও পড়ুন : < Britannia Factory: আবেগের সঙ্গে আপস! ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধে ধন্দে সকলে >
অনেক সবজি বিক্রেতা সবজির দাম বাড়ার পিছনে প্রচণ্ড গরমকে দায়ি করেছেন। তাদের যুক্তি প্রচণ্ড গরমে বেশিরভাগ ফসল মাঠেই জ্বলে গিয়েছে। তাই জোগানও কম, ফলে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি। তবে ক্রেতাদের মতে পরিস্থিতি তাতে সরকারের নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে এখনই। প্রশ্ন উঠছে টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়েও।