প্রতিটি পুজো মণ্ডপ এবার কন্টেইনমেন্ট জোন বলে গণ্য হবে। কোনও মণ্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। অতিমারীর আবহে ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সব পুজোর জন্য এই নির্দেশ কার্যকর বলে রায়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
করোনা আবহে সর্বজনীন দুর্গোৎসব বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার আজ রায় দিয়েছে আদালত। পুজোয় ভিড় নিয়ে পর্যবেক্ষণেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল হাইককোর্ট। এ দিন শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় কয়েক হাজার পুলিশ দিয়ে কীভাবে সামলানো যাবে? রাজ্য সরকরারে জানিয়েছে যে আরও পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যদিও ভিড় সামলাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্যসচিবের কী পরিকল্পনা তার ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্যের তরফে তা আদালতকে এ দিন জানানো হয়নি ৷
দায়ের করা মামলায় রায়ের প্রথম পৃষ্ঠা
শুনানি চলাকালীন আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায় তার জন্য প্রতিটি পুজো মণ্ডপকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করতে পারে আদালত। পরে, নির্দেশে আদালাত জানিয়েছে, প্রতিটি পুজো মণ্ডপই কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে গণ্য হবে। উদ্যোক্তাদের তরফে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি থাকবে। তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকেই মণ্ডপের গায়ে ঝুলিয়ে দিতে হবে। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। দূর থেকে দেখতে হবে। মন্ডপের শেষ প্রান্ত থেকে ফিতে মেপে ওই গণ্ডি তৈরি করতে হবে। দর্শক শূন্য রেখে পুজো পরিচালনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে পুলিশ–প্রশাসনকে।
Kolkata High Court order on Durga Puja by Express Web on Scribd
পুজো মণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণার পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের রায় মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনারদের লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন