খাস নন্দীগ্রামেই ঝরল পদ্মের পাপড়ি। ভেটুরিয়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে তৃণমূলের কাছে হেরে গেল বিজেপি। ১২টি আসনেই জিতে সমবায় সমিতির দখল নিয়েছে তৃণমূল। এই ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তপ্ত ছিল এলাকা। বেলা গড়াতেই তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ঝরল রক্ত। দু’পক্ষের মোট ১০ জন জখম। এঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি ও সিপিআইমের অভিযোগ, আশান্তি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দিতে বাধা দিয়েছে বিজেপি। ভেটুরিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারের সামনেই করা হয় বাঁশপেটা। পুলিশের সামনেই চলে বাঁশ হাতে দাপাদাপি।
এই ভোট নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'সমবায় ভোটে আমরা তো সরাসরি যুক্ত হই না। সমবায়ের অংশীদাররা ভোটার। কিন্তু সব জায়গায় , সমবায় ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনার জন্য মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমরা প্রথমবার সমবায় সমিতিগুলিতে লড়ছি। তাতে অনেকগুলি জায়গা আমরা জিততে পেরেছি, অনেকগুলি জায়গায় ভাল লড়াই দিয়েছি। এখানে সাধারণ ভোটাররা ভোটার হয় না, শেয়ারহোল্ডার ভোট হয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভুক ! কয়লা খায় ! বালি খায় !… টাকা খায় ! এবার এই সমবায়টাকেও খেতে হবে। খেতে গেলে যা করার, করছে। '
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'আসলে বিজেপি এক বছর আগে নন্দীগ্রামের কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল। কিন্তু, তারা এখন ক্রমশ বুঝছে যে বিজেপি বা শুভেন্দুর থেকে তৃণমূলেই আস্থা রাখা যায়। তাই ভোটে না পেরে বহিরাগত এনে আশান্তি পাকিয়ে ভোট ভুন্ডুলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি।'
ভেটুরিয়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট ১২টি আসনের মধ্যে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বাকি ১১টি আসনে শুক্রবার নির্বাচন হয়। মূল লড়াই ছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। এদিনের ১১টা সহ মোট ১২ আসনেই জিতেছে তৃণমূল।