মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী বাংলা। শনিবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মালদায় দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দুই নির্যাতিতাই গারদে! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বার করতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। কেন দুই আদাবিসী মহিলাকে মারধর করা হল? কারা করলেন? শিউরে ওঠা ঘটনার বর্ণনা করেছেন নির্যাতিতা এক আদিবাসী মহিলার মেয়ে।
ঘটনা গত মঙ্গলবারের। নির্যাতিতার মেয়ের কথায়, 'লেবু বিক্রি করতে গত মঙ্গলবার হাটে গিয়েছিলেন আমার মা ও এক কাকিমা। সেখানেই এক মিষ্টি বিক্রেতা তাদের চোর বলে। সঙ্গে সঙ্গে চোর সন্দেহে মা ও কাকিমাকে মারধর করে হাটের লোকজন। কাপড় খুলে মেরেছে।'
আরও পড়ুন- মণিপুরের পাল্টা মালদহ, মমতার বাংলায় নির্মম নারী নির্যাতন নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি’র
শুধু সন্দেহের কারণেই মারধর? নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, 'কেবল সন্দেহ করেই ওরা মারধর করল। অন্যায় থাকলে মারত তাহলে ঠিক ছিল, কিন্তু ওদের অন্যায়ভাবে মেরেছে।'
দুই নির্যাতিতাই এখন জেলে রয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার মেয়ের।
কীভাবে জানলেন হাটে এই অকথ্য অত্যাচার চলেছে? ওই মেয়ে বলেন, 'থানা থেকে এক সিভিক পুলিশ এসে আমাদের মা, কাকিমার ছবি দেখাল। বলল ঘটনা। তারপর থানায় যেতে ওকানে সব বললো। ওরা জেলে রয়েছে। পুলিশ বললো পরের সোমবার ছাড়া হবে।'
মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীস কুন্ডু বলেন, 'দোষ করলে শাস্তি হবে, যে করেছে তাদেরই শাস্তি দিক পুলিশ। নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। আশা করছি দোষীদের শাস্তি হবে দ্রত।'
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব মমতা তৃণমূল। পাল্টা মালদায় দুই আধিবাসী মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় সোচ্চার বিজেপি। এই ঘটনায় কেন নীরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। 'ইন্ডিয়া' জোটের কোনও শরিক কেন কিছু বলছে না তাও জানতে চেয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।