Advertisment

দুর্ঘটনায় মৃত্যু ‘পবনপুত্রে’র, ধর্মীয় বিশ্বাসে শেষকৃত্য সারলেন বাসিন্দারা

রাস্তা পেরনোর সময় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় হনুমানটির৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Villagers have organised monkeys last ride

হনুমানের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গ্রামবাসীরা৷

রামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত ‘হনুমান’-কে দেবতা জ্ঞানেই মানেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। রামায়ণের বর্ণনা অনুযায়ী হিন্দুদের কাছে হনুমান ‘পবননন্দন’ হিসেবে পূজনীয়। একটি হনুমানের দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়৷ রীতি মেনে হনুমানের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হল৷

Advertisment

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রাম এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একটি হনুমানের৷ এই ঘটনার জেরে যারপরনাই ব্যথিত হয়ে পড়েন মাঝেরগ্রাম এলাকার হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষজন। তাঁরাই হনুমানের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন৷ রীতি মেনে খোল-করতাল বাজিয়ে হরিনাম সহযোগে ভাগীরথীর ঘাটে সম্পন্ন হয় পবনপুত্র হনুমানের শেষকৃত্য৷ ভক্তি-ভাবের এখানেই শেষ নয়। ধর্মীয় উপাচার মেনে হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন বাসিন্দারা৷

স্থানীয় বাসিন্দা ঝাঁপু তরি পরেছেন সাদা কাপড়ের কাছা। মাঝেরগ্রামের বাসিন্দারের হনুমানের প্রতি এমন ভালোবাসা মন কেড়েছে পশুপ্রেমীদের। মাঝেরগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে হামেশাই হনুমানের আগমন ঘটে। গ্রামের স্রবত্র ঘুরে বেড়ায়ে হনুমানের দল৷ এলাকাবাসীরাই তাদের খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেন৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি হনুমান মালডাঙ্গা- মেমারির রোড ধরে স্থানীয় পুরগুনা মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময়ে একটি লরি হনুমানটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই হনুমানটি মারা যায়। হনুমানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়৷

আরও পড়ুন- ‘ইগো ছাড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে লড়ুন’, বার্তা মমতার

এলাকার যুবক চিরঞ্জিত রায়,রাজু হাজরা,কৌশিক মাঝি-সহ অন্যরা হনুমানটিকে উদ্ধার করে মাঝেরগ্রাম বাজারে নিয়ে যান। তাঁরাই হনুমানের মৃত্যুর কথা জানান স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুমন্ত রায়কে। এরপর উপ-প্রধান-সহ গ্রামের সবাই রাজকীয় মর্যাদায় হনুমানটির শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত করেন৷ হনুমানটির শরীরের উপরে গেরুয়া কাপড় দিয়ে তার উপর ফুল ও মালা পরানো হয়৷ সুগন্ধী ধুপ জ্বেলে খোল-করতাল বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে হনুমানের দেহ কাঁধে চাপিয়ে চলে গ্রাম প্রদক্ষীণ।

কালনার ধাত্রীগ্রামে ভাগীরথীর ঘাটে হনুমানের শেষকত্য সম্পন্ন করেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ঝাঁপু তুরি ভাগীরথীতে স্নান সেরে কাছাও নিয়েছেন৷ বাড়ি ফিরে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘হিন্দুরা হনুমানকে প্রভু রামচন্দ্রের বিশ্বস্ত সহযোগী বলেই মনে করেন। সেই শ্রদ্ধাতেই হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া করবন৷’ এপ্রসঙ্গে উপপ্রধান সুমন্ত রায় বলেন, ‘হনুমানটির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। আগামী তিন দিনে হনুমানটির পারলৌকিক ক্রিয়া ধুমধাম করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

East Burdwan
Advertisment