/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/1000223302-2025-09-19-18-02-32.jpg)
Malda news: শুকরের হামলায় গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন।
Malda News:একদল বন্য শুকরের হামলায় গুরুতর জখম হলো বানভাসি এলাকার ছয় জন। আহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভূতনি থানার দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভানুটোলা এবং মাঝিটোলা এলাকায়। দুটি এলাকাতেই দফায় দফায় একই বন্য শুকরের দল হামলা চালিয়েছে। যাতে করে এই আহতের ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ছয়জনকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতলে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকেরা। সেখানে এক মহিলা সহ দুজনের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জেরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে এই বন্য শুকরের তাণ্ডবের খবর পেয়েই ওই দুই এলাকায় তদন্তে যায় ভুতনি থানার পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার বনদপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু তার আগেই গ্রামবাসীদের ধাওয়াতে গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে বন্য শুকরের দলটি। যদিও রাতে প্লাবিত এই গ্রামগুলিতে আবারও খাবারের সন্ধানে বন্য শুকখের দল হামলা চালাতে পারে এমনই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম মায়া মন্ডল (৩২) , জয় মন্ডল (৩৫)। এই দুইজন চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজে। বাকি আহতদের নাম ধনপতি মন্ডল (৫০) , জয়দেব মন্ডল (৫৫) , সঞ্জীব মন্ডল (৫৮) এবং বিভূতি মন্ডল (৪৮)। এরা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রত্যেকের পায়ে, পেটে, পিঠে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভানুটোলা ও মাঝিটোলা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই গোটা এলাকা গত একমাস ধরে গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। একদিকে বিষধর সাপের উপদ্রব, তার ওপর এখন নতুন করে বন্য শুকুরের তান্ডব শুরু হয়েছে এলাকায়। এদিন সকালে ওই দুই গ্রামের একটি শুকনো জায়গাতেই একদল কৃষক ধান ঝারাইয়ের কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকায় ৮ থেকে ১০ টি বন্য শুকর একসাথে দল বেঁধেই দফায় দফায় হামলা চালায়। ওই শুকরগুলির ধারালো দাঁতের আঘাতেই গ্রামবাসীরা জখম হয়েছেন। ছোট শিশুরা থাকতে গেলে হয়তো এই হামলায় আরও বড় ক্ষতি হতে পারতো। বন্য শুকরের হামলার পর পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর স্পীডবোর্ডে করেই আহতদের প্লাবিত এলাকা থেকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মন্ডল , রেনুকা মন্ডলদের বক্তব্য, এরকম ভয়ংকর বন্য শুকরের দল আগে কখনও দেখি নি। গতবছরও এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন সাপের উপদ্রব ছিল ঠিকই। কিন্তু এমন ঘটনা এবারই প্রথম দেখলাম। পরে গ্রামবাসীরা হইচই করে তারা করলে প্লাবিত এলাকার ঘন জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে লুকিয়ে যায় বন্য শুকরের দলটি।
মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অভীক শঙ্কর কুমার জানিয়েছেন, এদিন যে ছয় জন আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে এসেছিলেন, তাদের আঘাতের চিহ্ন দেখেই মনে হচ্ছে বন্য কোনও প্রাণী হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্য শুকরের আঘাতই বলে মনে কর হচ্ছে।
এব্যাপারে মানিকচক রেঞ্জের এক বন কর্তা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে বন্য শুকরের দলকে কোভাবেই ধরা সম্ভব নয়। যদিও এরা আশ্রয় ও খাওয়ারের খোঁজেই সম্ভবত গঙ্গা নদীর ওপারে ঝাড়খন্ড থেকেই এপারে ভেসে আসতে পারে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us