দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। অভিষেক গ্রামে ঘুরে যাওয়ার ১৩ দিনের মাথায় জমির পাট্টা পেলেন বাসিন্দারা। রীতিমতো বিডিও অফিসে ডেকে প্রাপকদের হাতে জমির পাট্টার কাগজ তুলে দেওয়া হল। প্রশাসনের এই ভূমিকায় স্বভাবতই খুশিতে আত্মহারা গ্রামবাসীরা। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন জমি প্রাপকরা।
এর আগে ফেব্রুযারি মাসের ৪ তারিখে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জনসভা করতে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুরের সভায় যাওয়ার আগে ঝটিকা সফরে তিনি গিয়েছেলিন খড়গপুরের মাতকাতপুর এবং মোহনপুর এলাকায়। অভিষেককে সামনে পেয়ে বরকোলা পঞ্চায়েতের ওই বাসিন্দারা নিজেদের নানা অভাব-অভিযোগের কথা জানান। একইসঙ্গে উঠে আসে দীর্ঘদিনের জমির পাট্টার দাবি প্রসঙ্গও। ওই এলাকায় কাঁসাই নদীর ধারে বংশ পরম্পরায় বাস করে গেলেও জমির পাট্টা না থাকায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল বহু পরিবার।
অভিষেককে নিজেদের বহু পুরনো দাবির কথা জানান এলাকার বাসিন্দারা। মন দিয়ে গ্রামবাসীদের সেই দাবির কথা শোনেন তৃণমূল সাংসদ। জমির পাট্টা না মেলার ওই সমস্যার সামাধানের আশ্বাস সেদিনই দিয়েছিলেন অভিষেক। এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই কেশপুরের সভার উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এলাকা ঘুরে যাওয়ার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় হল স্বপ্নপূরণ। কয়েক দশক ধরে যে জমিতে বাস করছিলেন এলাকার দু'শোরও বেশি বাসিন্দা, তাঁরা পেলেন পাট্টা। খড়গপুরের মাতকাতপুর ও মোহনপুর এলাকার ওই বাসিন্দাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিবল খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে। সেখানেই তাঁদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন- মন্ত্রীর বাড়ির সামনেই হোটেলে ঢুকে মালিককে খুন, দুঃসাহসিক-কাণ্ডে তোলপাড়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কয়েক দশকের দাবি পূরণ হওয়ায় যেন আবেগের স্রোতে ভাসছেন বাসিন্দারা। কয়েক পুরুষ ধরে শুধুমাত্র নদীর পাড়ের জমিতে বাস করার জন্য ও জমির কাগজ না থাকায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তবে এবার ঘুঁচেছে সেই দুর্দিন।
আরও পড়ুন- পাহাড়ের কোলে ছবির মত সাজানো ছোট্ট গ্রাম, গেলে ফিরতে মনই চাইবে না
এবিষযয়ে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'বরকোলা পঞ্চায়েতের বিনশহর গ্রামে ২১৪ জন সেচ দফতরের জমিতে বাস করছিলেন। ওঁরা ৫০-৬০ বছর ধরে ওই জমিতে বাস করছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরে সভা করতে যাওয়ার পথে ওখানে নেমেছিলেন। রাস্তার ধারের গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। ওরা জমির পাট্টা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন অভিষেককে। পরে উনি সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। ২১৪ জনের হাতে সরকারিভাবে জমির কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে।'