South 24 Parganas news:'ভোটের সময় হাতে-পায়ে ধরে, এবার আসুক', নেতা-মন্ত্রীদের চরম হুঁশিয়ারি!

Dangerous bridge: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পরিস্থিতিতেই রয়েছে এই সেতুটি। সেতুটি সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Dangerous bridge: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পরিস্থিতিতেই রয়েছে এই সেতুটি। সেতুটি সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

author-image
Mina Mondal
New Update
Canning Bridge,  Dilapidated bridge,  Bridge repair demand  ,Villagers protest,  Poor road condition  ,South 24 Parganas news,  Canning West Bengal,  Dangerous bridge  ,Bridge collapse risk  ,Infrastructure protest,ক্যানিং সেতু  ,বেহাল সেতু  ,সেতু সংস্কার  ,গ্রামবাসীর বিক্ষোভ,  রাস্তাঘাট দুরবস্থা  ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা খবর,  ক্যানিং খবর,  সেতু বিপদজনক,  সেতু অবস্থা , রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি

Canning Bridge: বেহাল সেতু সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

Bridge collapse risk:দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর বেহাল অবস্থা। ক্যানিংয়ের ডাবু খালের উপর নির্মিত উত্তর অঙ্গদবেরিয়া ও দক্ষিন অঙ্গদবেরিয়া সংযোগকারী সখেরহাট বটতলার কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ভেঙে যাওয়া এই সেতু মেরামতির কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। এই বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, বিধায়ককে জানালেও কোন লাভ হয়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের। বার বার শুধুই আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। প্রতিবাদে এলাকার মানুষজন একত্রিত হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। গ্রামবাসীদের কথায় "আসুক এবার ভোট চাইতে....ভোট এলেই এলাকায় এসে হাতে-পায়ে ধরে! ভোট ফুরোলেই সব যায় ভুলে।" এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ-সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা।

Advertisment

ক্যানিংয়ের এই সেতুটি সেচ দফতরের অধীন। তাঁরা এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। অবিলম্বে এই সেতু সারানো না হলে এবার রাজনৈতিক নেতাদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বছর ১৫ আগে ক্যানিংয়ের এই এলাকায় থাকা কংক্রিটের সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর পাশে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয় সেচ দফতরের উদ্যোগে। কিন্তু সেই কাঠের সেতুটিও বছর চারেক আগে ভেঙে যায়। 

তারপর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষ এই সেতুটি মেরামতি কিংবা বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের সেতু তৈরির আবেদন জানিয়ে এলেও কোনও লাভ হয়নি। প্রতিদিন স্থানীয় বঙ্কিম সর্দার কলেজ, সরকারি আইটিআই কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলে ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক, শিক্ষিকাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙাচোরা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তেমনই এলাকার সাধারণ মানুষ সহ আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates:তুমুল বিক্ষোভের মুখে দমকলমন্ত্রী, অগ্নিকাণ্ডের পর খিদিরপুরে সুজিত বসুর সঙ্গে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা

Advertisment

বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নেতা-মন্ত্রীরা ভোটের সময় এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তবে ভোট ফুরোলেই তাঁরা আর পাত্তা দেন না। বিক্ষোভকারী এক যুবক বলেন, "প্রতিবার এসে ভোট চাইবে। তারপর আর আমাদের খোঁজ-খবরই নেবে না।" এক মহিলা বলেন, "আসুক এবার ভোট চাইতে। ভোটের সময় এসে হাতে-পায়ে ধরবে। এই সেতু দিয়ে যাতায়াতে স্কুলের বাচ্চারাো পড়ে যাচ্ছে। যাতায়াতই করা যাচ্ছে না। তাও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।" 

আরও পড়ুন- deportation: ভিনরাজ্যে আটক মুর্শিদাবাদের যুবক, সটান পাঠানো হল বাংলাদেশে

বেহাল সেতু দিয়ে যাতায়াতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতু থেকে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভাঙছে। রোগী নিয়ে যাতায়াত করাই যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষদের। আর সেই কারণেই এবার রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কাঠের সেতুর উপর দিয়ে ক্যানিং ১ ব্লকের দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, নিকারীঘাটা, গোপালপুর ও দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকার স্কুল, কলেজ, থানা, রেল স্টেশন, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দফতরে যেতে হলে অন্যতম ভরসা এই কাঠের সেতু। 

আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update today:দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার দুরন্ত বদল সময়ের অপেক্ষা! তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

নড়বড়ে ভাঙাচোরা এই কাঠের সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। নতুবা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে দৈনন্দিন কাজকর্ম মেটাতে হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধিদের কাছে বারে বারে দরবার করেছেন এলাকার মানুষ কিন্তু সুরাহা হয়নি। তবে এবার এই সেতু মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।

South 24 Pgs Bengali News Today Canning