গৃহবন্দী রাজ্যে করোনা সংক্রমণের ভয় থেকে হিংসায় ঘটনার চিত্র ফুটে উঠল রাজ্যের দুই জেলা মালদা এবং হুগলীতে। মালদায় একসঙ্গে ১২ জনের করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসতেই হরিশচন্দ্রপুর ব্লকে দুটি গ্রামের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। পরবর্তীতে তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে।
ঠিক কী হয়েছিল?
মালদার মানিকবাড়ি গ্রামে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ১২ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই শুরু হয় ঝামেলা। মঙ্গলবারই রাজস্থান থেকে ফিরেছিলেন তাঁরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পড়শি গ্রাম চন্ডিপুর থেকে বাসিন্দারা এসে মানিকবাড়ি গ্রামটিকে সিল করে দিয়ে যান, এমনটাই সূত্রের খবর। মানিকবাড়ির বাসিন্দারা জানায় যে তাঁরা প্রয়োজনীয় জিনিষ আনতে হলে চন্ডিপুরই একমাত্র ভরসা যেখানে দোকানপাট রয়েছে। এরপরই ঝামেলার সূত্রপাত ওই এলাকায়। জানা গিয়েছে রবিবার রাতে সিল ভেঙে মানিকবাড়ির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা চন্ডিপুর গ্রামে এসে হামলা চালায়, বেশ কয়েকজনকে মারধরও করেন।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছ'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "এই মুহুর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি। এলাকাকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।"
এদিকে একই চিত্র হুগলির ভদ্রেশ্বরে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ৫ জনের দেহে করোনা ধরা পড়তেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এমনকী তেলেনিপাড়ারয় বোমাবাজিও চলে। বহু যানবাহন ভাঙচুর করে দোকানে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৩৬ জন।
সোমবার বিজেপির হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে তাঁর সংসদীয় এলাকা পরিদর্শন করতে তাঁকে বাঁধা দিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, "যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। কিন্তু বাকিদের জন্য লকডাউন কঠোর হচ্ছে। এটাই আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আসল ছবি।"
রাজ্যের এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটও করেন তিনি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন