/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/visva-bharati.jpg)
বিশ্ব-ঐতিহ্যের তালিকায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনই বড় সাফল্যের মুকুট শান্তিনিকেতনের। এবার ইউনেস্কোর 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন। টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' হিসাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।
আরও পড়ুন- কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি ইউনেস্কোর, আগেই লিখেছিল iebangla.com
টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি লিখেছেন, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ভারতের জন্য দারুণ খবর। শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ICOMOS দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় লিপিবদ্ধ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টির জন্যই শান্তিনিকেতনের কপালে এই প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে হয়েছে বলে টুইটে দবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি।
Great news for India 🇮🇳 on the Jayanti of Gurudev Rabindranath Tagore
Santiniketan, West Bengal has been recommended for inscription to the World Heritage List by ICOMOS, the advisory body to UNESCO World Heritage Centre.
1/2 pic.twitter.com/QzEFd4lpAL— G Kishan Reddy (@kishanreddybjp) May 9, 2023
ইউনেস্কোর হেরিটেজ ‘মুকুট’ পরতে চলেছে বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। গত ফেব্রুয়ারিতেই এই খবর দিয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক বলেছিলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হচ্ছে। এটি হবে বিশ্বের প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়। আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়া বাকি সব কিছুই করা হয়েছে। ওই বৈঠক সম্ভবত এপ্রিল বা মে মাসে হবে। সাধারণত একটি স্মৃতিস্তম্ভকে হেরিটেজ ট্যাগ দেওয়া হয়। বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো, একটি জীবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যা পুরোদমে কাজ করছে, তাকে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীতে আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।'
১৯২১ সালে ১১৩০ একর জমিতে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২২ সালের মে মাসে বিশ্বভারতী সোসাইটি একটি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত না হওয়া পর্যন্ত এটি নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামেই ছিল। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বেশ কিছু সম্পত্তি, জমি এবং একটি বাংলো সেই সময়ে বিশ্বভারতী সোসাইটিকে দান করেছিলেন। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এটি একটি কলেজ ছিল এবং ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিতীয় উপাচার্য ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ঠাকুরদা।