নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি নিয়ে দড়ি টানাটানির নিরসণ চায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রেস বিবৃতি দিয়ে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে হয় আইনি পথে কিংবা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খোলামনে আলোচনার মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় জট কাটানোর আবেদন জানিয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিন বিশ্বভারতীর তরফে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্বভারতী তার জমি দখলের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এবং রেকর্ড অনুয়ায়ী অধ্যাপক সেনকে পদক্ষেপ করতে আবেদন করা হচ্ছে। প্রফেসর অমর্ত্য সেন নিজের এবং বিশ্বভারতীর সুনাম রক্ষার জন্য যা করার দরকার তাই করবেন বলে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’

প্রেস বিবিৃতিতে আরও লেখা আছে, যে ‘এখন দু’টি বিকল্প পথ খোলা রয়েছে, প্রথমটি হল প্রফেসর সেন এই মহূর্তে যে ধারণা নিয়ে বসে রয়েছেন সেটি আইনের গণ্ডিতে আদালতে গিয়ে প্রমাণ করুন। অথবা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবিষয়ে অবাধে এবং খোলামেলাভাবে সমাধানের জন্য যা করার দরকার সেটা করুন।’
আরও পড়ুন- ‘নোবেল প্রাইজ পাননি অমর্ত্য সেন’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দাবি, কী বলছে ইতিহাস?
রবিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিধ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত এই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যে বিশ্বভারতীর ১১৩৪ একর জমি রয়েছে। যার মধ্যে ২০১৮ সালে ৭৭ একর জমি দখল করা হয়েছিল। গত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে ১৫ একর জমি পুনরুদ্ধার করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পরেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বিশ্বভারতী অভিযানে নামে।
আরও পড়ুন- আমরা গণতন্ত্রের পুতুল-পুতুল খেলছি, ক্ষমতা আসলে ২৯৪ ভূমিশ্বরের হাতেই: ডাঃ কুণাল সরকার
উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রয়েছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। দিন কয়েক আগে অধ্যাপক সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে পৌঁছলে তাঁর হাতে চিঠি ধরায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও জমি দখলের অভিযোগ মানতে নারাজ নোবলেজয়ী অর্থনীতিবিদ। এব্যাপারে আইনি পথেই সমস্যার সমাধানে আগ্রহী তিনি।
আরও পড়ুন- জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ! এখনই ‘ব্যবস্থা’র দাবি তৃণমূলেরই নেতার