শান্ত হচ্ছে না শান্তিনিকেতন। একের পর এক ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে ঘিরে যে বিক্ষোভ হয়েছিল তা স্তিমিত হতে না হতেই 'সঙ্গীত ভবন'কে (নাচ, গান এবং নাটক বিভাগ) কেন পাঁচিল তুলে আলাদা করা হবে এর প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা।
প্রায় ৯ ফুটের পাঁচিল তোলা হয়েছে ক্যাম্পাসের ভিতরে। 'সঙ্গীত ভবন' এবং লাগোয়া আবাসিকদের থাকার জায়গাকে আলাদা করতেই এই পাঁচিল গাঁথা হচ্ছে। সেই পাঁচিল নিয়েই এবার নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রবীন্দ্রনাথের হাতে গড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
প্রতিবাদীদের কথায়, এই দেওয়াল তোলার অর্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের উল্টো পথে হাঁটা। ১৯২১ সালে তৈরি হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নেপথ্যে যে মুক্ত শিক্ষার বাবনা ছিল তা নষ্ট করা যাবে না, এমনটাই বক্তব্য তাঁদের। রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে প্রতিবাদীরা।
এক প্রতিবাদী ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা সকলেই জানি, বিশ্বভারতীর বৈশিষ্ট্যই হল উন্মুক্ত আকাশের নীচে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে পড়াশুনো করা। কিন্তু এই পাঁচিল তা বিনষ্ট করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্ত শিক্ষার ভাবনাকে রূপ দিতেই এই শিক্ষাঙ্গন স্থাপন করেছিলেন।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন