১২৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার শান্তিনিকেতনে বন্ধ হতে চলেছে ঐতিহ্যবহুল পৌষমেলা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘোষণা নিয়েই শুরু হয়েছে এক বিতর্কের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানাল বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।
এমনকী পৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির সেক্রেটারি সুনীল সিং বলেন, "পৌষমেলার সঙ্গে একটা বিশাল সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। ডিসেম্বরের এই সময়টায় প্রচুর পর্যটকরা আসেন শান্তিনিকেতনে। রাজ্য জুড়ে এবং বিশেষত বীরভূম জেলা থেকে শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা এই মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শন করেন। এখন যদি এই মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় তবে বার্ষিক উপার্জনের বিশাল ক্ষতি হবে।"
আরও পড়ুন, কাল থেকে ৯ জেলার কনটেনমেন্ট-বাফার জোনে লকডাউন
যদিও করোনা আবহে এই মেলা বন্ধ রাখা ব্যতীত আর কোনও উপায় নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করোনা অতিমারী প্রেক্ষাপটে এতদিন বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সালে প্রথম এই মেলার সূচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথমে একমাস ধরে এই মেলা চললেও এখন সরকারিভাবে তিন থেকে চার দিন থাকে এই মেলা।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান যে শান্তিনিকেতনের ট্রাস্টের দলিল অনুসারে, গুরুদেবের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করেছিলেন এই ট্রাস্ট। এই বিশ্বাস রেখে করা হয়েছিল যে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে মেলাটিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতীর দায়িত্বে পরিণত হয়।" যদিও এ বছর পৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, এমনটাই জানান উপাচার্য।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন