তুমুল উত্তেজনা বিশ্বভারতীতে, তৃণমূল ছাত্র-নেত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে সরাল রক্ষীরা

আবারও উত্তেজনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আবারও উত্তেজনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Visva Bharati university chaos

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা। ছবি: আশিস মণ্ডল।

বিশ্বভারতীতে আবারও তুমুল অশান্তি। একাধিক দাবিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বেরোতে গেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কিছু পড়ুয়া। যদিও উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তাঁরই নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা আন্দোলনকারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisment

ছাত্র ভর্তি, পিএইচডি-তে বাধা, শিক্ষকদের মুচলেকা আদায়, সাসপেনশন, বেতন-পেনশন আটকানো-সহ একাধিক ইস্যুতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলে প্রায় দু'সপ্তাহ ধরেই বিক্ষোভ চলছে। উপাচার্য আদালতের নির্দেশ না মেনে নিজের মতো প্রতিষ্ঠান চালানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের।

আরও পড়ুন- ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দেব’, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে তুলোধনা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Advertisment

মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী মীণাক্ষী ভট্টাচার্য। তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য রাজি হননি। তবে এরপরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষমেশ মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে।

একাধিক অভিযোগে গত ১২ দিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্বভারতীর বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। এদিন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্বভারতীর তৃণমূল কংগ্রেস ইউনিটের সভাপতি মীণাক্ষী ভট্টাচার্যকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয়। মীণাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ''উপাচার্যের ভার্চুয়াল নির্দেশেই নিজেদের চাকরি বাঁচাতে ওঁরা আমাকে মেরেছে। আমি এখনও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারিনি। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।''

visva bharati West Bengal Visva-Bharati University