VBU ex Vice-Chancellor Bidyut Chakraborty: ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ৫ বছর মেয়াদকালে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে থাকাকালীন অমর্ত্য সেনকে জমি দখলকারী, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়েছে। একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেউ তির্যক ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। শেষমেষ ফলক বিতর্ক।
বিশ্বভারতীতে ফের চর্চায় প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। চলছে কটাক্ষের বন্যা। অভিযোগ, অবসরগ্রহণের সময় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তিনটি ফোন নিয়ে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী!
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, উপাচার্যের দায়িত্বগ্রহণের সময় কর্তৃপক্ষের থেকে তিনটি ফোন পেয়েছিলেন ডঃ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অবসর নেন তিনি। অভিযোগ, ওই তিনটি ফোন তিনি অবসরের সময় কর্তৃপক্ষকে ফেরৎ দেননি। ফোনগুলি নিয়েই চলে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- জাস্টিস অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি-ই, CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
এই প্রেক্ষিতেই প্রাক্তন উপাচার্যের শেষ মাসের বেতন থেকে মোট ৪৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মাসে প্রায় তিন লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। এই হিসাবে নভেম্বরের ৮ দিনে তাঁর বেতন হয় প্রায় ৪৯ হাজার টাকা। নিজের পাওনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই প্রাপ্য থেকেই মোবাইল ফোন বাবদ ৪৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৪ হাজার টাকা প্রাক্তন উপাচার্যকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুত চক্রবর্তীর ফোন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেছেন, 'উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুত চক্রবর্তীর প্রচণ্ড আস্ফালন ছিল, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে চোরের মায়ের বড় গলা।'
২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ৫ বছর মেয়াদকালে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে থাকাকালীন অমর্ত্য সেনকে জমি দখলকারী, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়েছে। একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেউ তির্যক ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। শেষমেষ ফলক বিতর্ক।