ছোট করে পৌষমেলার প্রস্তাব গৃহীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, মেলা করার ব্যাপারে কর্মসমিতির সব সদস্যই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মোটের উপর সবাই মেলার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চেনা বহরে মেলা করার ব্যাপারে বাদ সেধেছে বেশ কয়েকটি কারণ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা তেমনই আছে সময়ের স্বল্পতা। তাই ছোট করে হলেও মেলা হোক - কর্মসমিতির বৈঠক থেকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ ৩ বছর বাদে ফের শান্তিনিকেতনের ভুবনডাঙার মাঠে বসতে চলেছে পৌষ মেলা। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শান্তিনিকেতন জুড়ে খুশির হাওয়া।
দিন দু'য়েক ভাগেই পৌষমেলার আয়োজক শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই পৌষ মেলার আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় মেলা পরিচালনার ব্যাপারে বেশ কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয়েছিল। যেমন অনলাইন স্টল বুকিংয়ের পরিকাঠামো তৈরিতে সময়ের অপ্রতুলতা, পর্যাপ্ত জলের সরবারহের ব্যবস্থাপনার খামতি, আনুসাঙ্গিক অন্যান্য আয়োজনে সমস্যা ইত্যাদি।
সেই বৈঠকের পর শুক্রবার মেলা সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই তড়িঘড়ি ডাকা হয়েছিল কর্মসমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকের পর বিশ্বভারতীর তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ছোট করে হলেও এবছর পৌষমেলার আয়োজনের ব্যাপারে সহমত হয়েছেন কর্মসমিতির সদস্যরা।
২০১৯ সালে শেষবার পূর্বপল্লীর মাঠে হয়েছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেলা। তারপর ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা বন্ধ করে দেন তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। তাঁর জায়াগায় নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তাই এবার ফের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হবে, এমনই আশা করেছিলেন সকলে।
আরও পড়ুন- এবার হাওড়া স্টেশনে মিলল টাকার পাহাড়! RPF-র সাঁড়াশি অভিযানে জালে ১
সেই কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২ ঘন্টা কর্মসমিতির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, ফের পূর্বপল্লীর মাঠেই হবে পৌষমেলা। তবে পরিবেশ আদালতের বেশ কিছু দূষণ বিধি আছে। তাছাড়াও রয়েছে কয়েক বছরের ব্যবধান। তাই জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে নতুন করে দূষণ রোধের ব্যাপারে পরামর্শ নিয়ে ছোট করে হলেও মেলার আয়োজন করা হবে।