আবারও শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্রপতির সফরের আগেই তিন অধ্যাপককে শোকজ নোটিস ধরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে 'কটু-কথা' বলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বিশিষ্টজন ও অধ্যাপকদের একাংশ। সেই চিঠিতে এই তিন অধ্যাপকের সই ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই শোকজ করা হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, শরৎকুমার জেনা ও অধ্যাপক কৌশিক ভট্টাচার্যকে।
ফের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অমর্ত্য সেনের জমি-ইস্যুতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের সমালোচনা করে চিঠি লিখেছেন বিশিষ্টজনেরা। সেই চিঠিতে সই করার 'মাশুল' গুণতে হল বিশ্বভারতীরই তিন অধ্যাপককে। তাঁদের শোকজ নোটিস ধরিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও এই শোকজ নোটিস নিয়ে বিশ্বভারতী বা ওই অধ্যাপকদের কেউই এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন- ‘প্যাঁচে’ শুভেন্দু, পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব কমিশনেরই, স্পষ্ট জানাল হাইকোর্ট
এদিকে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আজ বিশ্বভারতীতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে সোমবারই তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠনও। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ।
আরও পড়ুন- তিলজলা কাণ্ডে উদ্বিগ্ন জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন, বাংলার মুখ্যসচিব-ডিজিকে নোটিস
উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্বনামধন্য বিশ্বভারতী তাঁর গরিমা হারাচ্ছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপকরা। এমনকী একের পর এক মামলার পিছনে বহু টাকা খরচের জেরে আদতে বিশ্বভারতীর সার্বিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মনে করেন অধ্যাপকরা। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তুলোধান করে সোচ্চার হয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ।