বিশ্বভারতীর 'সোনালী অতীত' ফেরাতে তৎপর বর্তমান কর্তৃপক্ষ। 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতীন্দ্রিয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক-মতাদর্শগত বিষয়গুলিকেই এখানে অগ্রাধিকার পাচ্ছে', রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি কর্তৃপক্ষের। বিবৃতির ছত্রে-ছত্রে রয়েছে অভিযোগ-খণ্ডনে কর্তৃপক্ষের একাধিক যুক্তি। মোটের উপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা একটি অংশকে জবাব দিতেই এই প্রেস বিবৃতি প্রকাশ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
'পৌষ মেলা' বন্ধ ইস্যু নিয়ে কী দাবি কর্তৃপক্ষের?
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষ মেলা বন্ধ করেছে বলে অনেকে অভিযেগ করেন। যদিও এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ''বিশ্বভারতী পৌষ মেলা বন্ধ করেনি, যেটা দাবি করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এত বিশাল আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাছাড়াও এত বড় মেলা করার পরিকাঠামোও বিশ্বভারতীর নেই। তাই মেলা বন্ধ হয়। মেলা বন্ধের পিছনে বিশ্বভারতীর ভূমিকা ছিল বলে দাবি করে কয়েকটি পক্ষ। পক্ষপাতমূলক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রচার করা হয়।"
'বসন্ত উৎসব' বন্ধ ইস্যু নিয়ে কী দাবি কর্তৃপক্ষের?
''একইভাবে বসন্ত উৎসবও একেবারে বন্ধ হয়নি। যেটা বন্ধ করা হয়েছিল তা হল বসন্ত তাণ্ডব (যার অর্থ দায়িত্বহীন কার্যকলাপ)। সেই জায়গায় বিশ্বভারতীতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে অতীতে যেভাবে বসন্ত বন্দনা চলত সেদিকে ফিরে যেতে হবে। এখন বসন্ত বন্দনা চলে। এই অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ। এখানে নারীদের লাঞ্ছনার ঘটনা নেই। দুর্বৃত্তদের হাতে শ্লীলতাহানির আশঙ্কাও নেই।''
বিশ্বভারতীর প্রেস বিবৃতি।
আরও পড়ুন- যুগান্তকারী নির্দেশ হাইকোর্টের! বিরাট ‘বিপাকে’ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার
শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা ইস্যু…
"শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। আমাদের মাননীয় আচার্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির পাশাপাশি এব্যাপারে শুরু থেকে তৎরপরতা নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রক ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। বিশ্বভারতীর বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে থাকা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অনেকের অবদান রয়েছে। যাঁরা অতীতে এর জন্য কাজ করেছিলেন।''
আরও পড়ুন- এপুজোয় আসতেন লর্ড ক্যানিং, মা দুর্গার আবাহনে জমিদার বাড়িতে তুঙ্গে তোড়জোড়