অনড় মনোভাব থেকে সরে এল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পৌষমেলা করতে রাজি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বভারতী এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত পৌষমেলা বন্ধ করতে চায় না। বরঞ্চ 'খোলা মন' এবং 'পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য' দিয়ে পৌষমেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতনের প্রতি বাঙালির ভালবাসা ও আবেগ শ্বাশত। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আহ্বান, পুরনো ঐতিহ্য-পরম্পরা বজায় রাখতে সবাইকেই খোলা মনে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানান, পৌষমেলা করতে তাঁরা অপারগ। সেই মতো গত ৮ জুলাই বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায় জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়ে দেন। এরপর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ঘরে বাইরে প্রবল চাপ শুরু হয়।
দু'দিন আগে অনলাইনে একটি বক্তৃতায় রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশ্বভারতীর কোর কমিটির সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়ে দেন, পৌষমেলা হচ্ছে ও তা কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে হবে। এরপরই মত বদল করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী জানিয়েছে, 'শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তা যতখানি গুরুত্বপূর্ণ ততখানি এখানকার নান্দনিক সৌন্দর্য। এই দিকগুলো মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে জমি হাঙরদের থেকে বিশ্বভারতী রক্ষার জন্য কাজ করছি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন