বিশ্বভারতীতে পাঁচিল ভাঙচুরকাণ্ডে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। এর মধ্যেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দফতরে কর্তব্যরত জেলা পুলিশের চার সশস্ত্র কর্মীকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় গত ১৭ আগাস্ট চার সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে ক্লোজ বা সরিয়ে নেওয়া হয়। পৌষমেলার মাঠ ঘিরে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করেই বিবাদের সূত্রপাত। এই চার সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে আপাতত কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
একই সঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার বদলিও নিয়োগ করা হয়েছে। তবে, বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, উপাচার্য নতুন নিরাপত্তারক্ষী নিতে অস্বীকার করেছেন।
গত বুধবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। টুইট করে রাজ্যপাল জানান, 'বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন যে, আমাকে রাজ্য সরকারের তরফে যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপাচার্যের দফতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার পুলিশকর্মীকেও ১৭ আগাস্ট সরানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপ ও উপাচার্যের সুরক্ষার আর্জি জানাচ্ছি।'
এর মধ্যেই সোমবারের ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা করে বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাতে বিদ্বজ্জনদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা যেমন পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার বিরোধী তেমনই ভাঙচুরেরও সমালোচনা করেন। কবিগুরুর আশ্রম 'কুস্তির আখড়ায়' পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিদ্বজ্জনরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের দাবি করা হয়েছে। কবি শঙ্খ ঘোষ ছাড়া এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তরুণ মজুমদার, অনীক দত্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রদাস সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, চন্দন সেন, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, কৌশিক সেন সহ বিশিষ্টরা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন