হাইকোর্টে কীসের আবেদন?
বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছিল ৮ নভেম্বর। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই (৯ নভেম্বর) প্রাক্তন উপাচার্যকে ৫টি মামলায় তলব করে শান্তিনিকেতন থানা। নির্দেশ ছিল, শুক্রবারই (১০ নভেম্বর) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে হাজিরা দিতে হবে। জল্পনা ছিল তলব মেনে কি হাজিরা দেবেন প্রাক্তনউপাচার্য? এসবের মধ্যেই শুক্রবার সকালে এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে পদক্ষেপ করেন বিদ্যুৎবাবু। এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই উচ্চ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে সাময়িকক স্বস্তি পেলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
নির্দেশে কী বলা হয়েছে?
কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের নির্দেশ, আপাতত বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে হাজিরা দিতে হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মত কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শান্তিনিকেতন থানার জারি করা নোটিসের উপরও স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশ যে, ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ শে নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তাঁর বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ। ২০শে নভেম্বর ৩টি মামলা এবং ২২ শে নভেম্বর ২টি মামলায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। সবকটি মামলাতেই ১ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর।
সবুজ আবিরে বিতর্ক
বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই বৃহস্পতিবার তাঁর দফতরে ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে সবুজ আবির খেলে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। যদিও বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেট খুলে ভেতরে ঢুকে কীভাবে অকাল হোলি খেলা হল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে, এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক। বিদ্যুৎবাবু এখন অতীত, তাহলে কী এবার শান্তিনিকেতনে বসবে পৌষ মেলা, হবে বসন্ত উৎসব? ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্পষ্ট না করলেও শুধু বলেছেন, 'আমিও কলাভবনের ছাত্র ছিলাম, এখন শিক্ষক।' যা গভীর ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- শান্তিনিকেতনে ফিরবে পৌষমেলা-বসন্ত উৎসব? বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষে চর্চা জোর!