পাঁচিল তোলা ঘিরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের সংঘাত অন্য মাত্রা পেল।
দমকল অফিস থেকে শান্তিনিকেতন দুরদর্শন কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে সহজেই বিশ্বভারতীতে পৌঁছে যাওয়া যায়। সেই রাস্তায় পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই খবর সম্প্রচারিত হতেই হইচই পড়ে যায়। এরপরই ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলার পুলিস সুপার ও জেলা শাসক। পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। নির্মাণের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, চিত্রা মোড়, লালপুলের যানজট এড়িয়ে ওই রাস্তাই ছিল শান্তি নিকেতন যাওয়ার শর্টকাট। কিন্তু সেখানে পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ফলে তাদের প্রবল অসুবিধেয় পড়তে হবে তাদের। ওই রাস্তা খোলা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতী ও রাজ্য দ্বৈরথ এই প্রথম নয়। পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলার নিয়ে গত বছর প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা ওই পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিশ্বভারতীকে কোনও পাঁচিল তুলতে গেলে তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদলত।।
এ দিকে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়েন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহেই বোলপুরে গিয়ে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়ের মোড় পর্যন্ত রাস্তা রাজ্য সরকারের। যা বিশ্বভারতীকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল। সেই রাস্তা ফের অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। সেই অনুসারে শুক্রবার উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়ের মোড় পর্যন্ত রাস্তা অধিগ্রহণ করল পুরকর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন