বাড়ির পথে হাঁটছেন এই শ্রমিকেরা, কারা তাঁরা? কেন ছাড়ছেন শহর?

কীভাবে ফিরবেন প্রিয় মানুষদের কাছে। অগত্যা রাজপথ ছেড়ে হাঁটা লাগালেন নিজভূমের দিকে। ঘরবন্দি শহরে রয়ে গেল তালাবন্ধ ভাড়া বাড়ি, কিছু ফিরে আসার আশা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অনিশ্চয় জীবন! মহানগর ছেড়ে বাড়ির দিকে হাঁটছেন আজমলরা। ছবি: পার্থ পাল

লকডাউনে অনিশ্চিত হয়েছে জীবন। পরিবার চাইছে তাঁদের। কিন্তু কীভাবে ফিরবেন প্রিয় মানুষদের কাছে? অগত্যা রাজপথ ছেড়ে হাঁটা লাগালেন নিজভূমের দিকে। ঘরবন্দি শহরে রয়ে গেল তালাবন্ধ ভাড়া বাড়ি, কিছু ফিরে আসার আশা। কলকাতা ছাড়ছেন যারা, অপরিচিত মুখেরা আজ পরিচয় পেয়ে যাক।

Advertisment

আজমল শাহ, ২৫
পরিবার: ৬ জন
পেশা: প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি বিক্রেতা
উপার্জন: দিনে ৪০০ টাকা
বাড়ি: মুর্শিদাবাদ
কেন হেঁটে ফিরে যাচ্ছেন: "আমরা হাওড়ার ডোমজুড়ে কাজ করতাম। কিন্তু সেখানে কোনও কাজ নেই। ওখানে থেকেও এখন আর কিছু করার নেই। আমার পরিবারের আমাকে প্রয়োজন এই সময়ে।"

publive-image

লালু প্রসাদ যাদব, ৫৫

Advertisment

পরিবার: ৬
পেশা: শ্রমিক
উপার্জন: মাসিক ৭০০০ টাকা
বাড়ি: বিহারের জামুই
কেন হেঁটে ফিরে যাচ্ছেন: "এখানে তো সব লকডাউন হয়ে গেল। তাই আর কোনও কাজ নেই। হঠাৎ করে ট্রেনও বন্ধ হয়ে গেল। আমাকে তো বিহারে বাড়ি ফিরতে হবে।"

publive-image

দীনেশ কুমার সিং, ৫১
পরিবার: ৪
পেশা: চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক
উপার্জন: মাসে ১২ হাজার টাকা
কেন হেঁটে ফিরে যাচ্ছেন: "সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখানে। তাই এখন পরিবারের কাছে ফিরে যাব। যেহেতু মাসের শুরুতে টাকা পেতাম, এই মুহুর্তে হাতে কোন টাকা নেই। এভাবে ছাড়া বাড়ি ফেরার উপায়ও নেই।"

publive-image

অন্যদিকে বছর কুড়ির রফিকুল শেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদ। পেশায় প্লাস্টিকের দ্রব্য বিক্রেতা রফিকুলের পরিবারে আছেন ৫ জন। উপার্জন বলতে দিনে ৪০০ টাকা। কেন হেঁটে ফিরছেন মুর্শিদাবাদে? রফিকুলের বক্তব্য "শহরের এই অবস্থায় কোথায় থাকব? ডোমজুড়ে কাজ করতাম। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। কিন্তু কতদিন এভাবে থাকব? তার থেকে বাড়ি চলে যাওয়া ভালো।"

West Bengal coronavirus