“অনুব্রত মণ্ডলের কষ্ট হলে, একই কষ্ট পেতে হবে বীরভূমের বিজেপি নেতাদের।” এমনই হুমকি দিলেন বীরভূমের নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা। তবে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা।
সিবিআই তদন্তে আসানসোল জেলে গরুপাচার কাণ্ডে বন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কিন্তু দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ধোঁয়াশা কাটছে না। তারই মাঝে দুদিন আগেই আসানসোল সিবিআই এর বিশেষ আদালতে অনুব্রত জানান, তাঁর শরীর খারাপ। ফিসচুলা থেকে রক্তপাত হচ্ছে। অনুব্রতর যদি কষ্ট হয়, তাহলে বীরভূমের বিজেপি নেতাদের একই রকম কষ্ট হবে। রবিবার নানুরের কীর্নাহারে এমনই হুমকি দেন গদাধর হাজরা।
পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে নির্বাচন প্রচারে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। জোর কদমে চলছে মিটিং-মিছিল। রবিবার নানুর বিধানসভার কীর্নাহার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বুথ ভিত্তিক কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা গদাধর হাজরা। মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি দাবি করেন, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “অনুব্রতর যদি কষ্ট হয়, একই কষ্ট পেতে হবে বীরভূমের বিজেপি নেতাদের।”
আরও পড়ুন কৌস্তুভকে গ্রেফতার, বিরাট হইচই, মমতাকে ‘ছ্যা-ছ্যা’, তাতেও লাভের অঙ্ক তৃণমূলের !
তিনি আরও বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁর দেখানো পথেই হবে ভোট। গদাধর হাজরার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বীরভূমের বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, "বহু গদাধর, ত্রিশুল ধর, তিরধনুক ধররা আমাকে রাতে ফোন করছে বিজেপিতে আসার জন্য। এই গদাধরের তৃণমূল দলে কোনও জায়গা নেই, বাজার গরম করার জন্য এই সব বলছে। অনুব্রতকে বিজেপি দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে না, মহামান্য আদালতের নির্দেশে যেতে হবে। তাই এই সব কথা বলে কোনও লাভ নাই।"