মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে এ তথ্য অস্বীকার করা হয়েছে। এ মাসের গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির সামনে দুটি ওয়াচটাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকার জন্য নোটিফিকেশন জারি করেছিল রাজ্যের পূর্ত দফতর।
টেন্ডারের নোটিসে ৯০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এ কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৪ লক্ষ চাকা। নোটিসে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৮-১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসভবনে দুটি ওয়াচটাওয়ার নির্মাণের কাজ নেওয়া হবে, যে কাজ ৭৪.০২ লক্ষ টাকায় ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন, নেতাজি-গান্ধিজিকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে, স্পষ্ট জানালেন দিলীপ ঘোষ
পূর্ত দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক এ কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘কলকাতা পুলিশের দাবি মেটাতে পারবে এমন অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যসম্পন্ন’ কোনও কোম্পানিকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। পিটিআই-কে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই সংস্থাকে শুধু ৯০ দিনের মধ্যে কাজ সেরে ফেললেই হবে না, আগামী ৫ বছর ওই টাওয়ারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভারও থাকবে তাদের উপরেই। চুক্তিতে বিস্তারিত ভাবে এসব কথা লেখা থাকবে।’’
জমা পড়া টেন্ডারগুলির প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই দফতরের তরফ থেকে চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। টেন্ডারগুলি আগামী ৩১ অক্টোবর খোলা হবে। ঠিক কোথায় ওই টাওয়ার দুটি অবস্থিত হবে, সে নিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা সম্ভব, এমন কোনও জায়গাতেই এই ওয়াচটাওয়ারের অবস্থান হওয়া উচিত। প্রযুক্তিগত নির্দিষ্টতা মেনে দুটি টাওয়ার নির্মাণ করতে পারবে এমন কোনও বিশ্বাসযোগ্য সংস্থার সঙ্গে বাকি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’’
ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইটে এ সম্পর্কিত রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘কায়েমি স্বার্থান্বেষী’ কিছু লোক ‘মিথ্যা খবর’ ছড়াচ্ছে।