খুদে পড়ুয়াদের জল পান করাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন নজিরবিহীন উদ্যোগের প্রশংসা সর্বত্র। বর্তমান দাবদাহের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে স্কুলের ছোট ছোট পড়ুয়াদের শরীর সুস্থ রাখতেই অভিনব এই ব্যবস্থা নিয়েছে এই স্কুলটি। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন দুরন্ত বন্দোবস্তের জেরে বাচ্চারাও মনের আনন্দে ঘড়ি ধরে ধরে জল পান করছে।
Water Bell in School: অভূতপূর্ব উদ্যোগ এই বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের। কচিকাঁচাদের জল পান করাতে অভিনব এক বন্দোবস্ত বেসরকারি একটি স্কুল কর্তৃপক্ষের। দারুণ এই তৎপরতার জেরে খুদে পড়ুয়ারা খুশিতে ডগমগ। প্রবল উৎসাহে জল পানে মত্ত তারা। স্কুলের এমন প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।
Advertisment
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির (Contai) দেশপ্রাণ ব্লক। এই ব্লকেরই অন্তর্গত রঘুরামপুর আর এন মেমোরিয়াল স্কুল। এই স্কুলের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত খুদে ছাত্র-ছাত্রীদের পর্যাপ্ত জল পান করানোর উদ্দেশ্যেই দুরন্ত এক উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলে চালু হয়েছে 'ওয়াটার বেল' (Water Bell)। 'জলঘণ্টা'-তেই উচ্ছ্বাসে ভাসছে কচিকাঁচার দল। রোজ সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল চলছে। প্রতি ১ ঘন্টা অন্তর স্কুলে বেজে উঠছে এই 'জল ঘণ্টা' বা 'ওয়াটার বেল'। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে অভিভাবকরা বেশ খুশি।
তাপপ্রবাহের (Heat Wave) গ্রাসে বাংলা। একটানা কয়েকদিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। আরও দিন সাতেক এই পরিস্থিতি চলার সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। গোটা দক্ষিণবঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। কোনও কোনও জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের (Severe Heat Wave) সতর্কতা জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শরীর সুস্থ রাখতে বারবার জল পানের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনও মতেই শরীর জলশূন্য রাখা চলবে না। বড়রা এক্ষেত্রে কিছুটা সচেতেন থাকলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন হয় না। তাই কচিকাঁচাদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রেখেই প্রচণ্ড দাবদাহের এই কালে তাদের জব্য স্কুলে 'ওয়াটার বেল' চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।