Flood Situation In Bengal: বিপদে বাংলা! ফের জল ছাড়লো ডিভিসি! পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নবান্ন। লাগাতার বৃষ্টিতে এমনিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর দুয়ারে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান এই চার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারেজ ৭০ হাজার কিউসেক থেকে জল ছাড়ায় নবান্নের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ডিভিসিকে।
ডিভিসির জল ছাড়ায় ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এনিয়ে ডিভিসিকে কড়া নিশানা করে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ এক্স-এ এক বার্তায় বলেছেন, "ডিভিসি আবার জল ছাড়লো ম্যানমেড বন্যা করাতে। গ্রীষ্মে কৃষি, সেচে জল চাইলে দেয় না। ঝাড়খন্ডে বর্ষায় জল বাড়ে, তখন জল ছেড়ে বিপদ বাড়ায়। এরমধ্যে পরশু অমাবস্যায় ভরা কোটাল। ডিভিসি ফের বাংলাকে বিপদে ফেলছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী"।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। বাড়ছে একাধিক নদীর জল। বাংলার একাধিক জেলায় বাঁধ ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এর মধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিসি। আরও জল ছাড়লে সৃষ্টি হতে পারে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। এদিন দুপুরে সকল জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভার্চুয়াল এক বৈঠকে অংশ নেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। বৈঠকে জেলাস্তরের পাশাপাশি মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যর সেচ দফতরের সঙ্গে কথা না বলে ডিভিসি যাতে জল না ছাড়ে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ভারী বৃষ্টিতে ডিভিসি, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছে এদিনের বৈঠক থেকে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা স্পষ্ট ভাবেই ডিভিসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন "ধাপে ধাপে জল ছাড়তে হবে। এক ধাক্কায় জল ছাড়া যাবে না"। পাশাপাশি সেচ দফতরের সঙ্গে সমম্বয় রেখে জল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - < Akhil Giri: ‘বেয়াদপ, জানোয়ার’, মহিলা ফরেস্ট অফিসারকে আক্রমণ অখিলের! চাকরির ‘আয়ু’ বলে দিলেন বনাধিকারিককে >
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, 'সরকারকে না জানিয়ে বিগত ৪৮ ঘণ্টায় প্রচুর জল ছেড়েছে ডিভিসি। যার কারণে হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে রাজ্য সরকার সকলকেই সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে তিনি। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেছে আগামী কয়েকদিনে ডিভিসি আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে। তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য বিপজ্জনক হবে বলেই আশঙ্কা রাজ্যের"।