Drinking water problem: জলের দারুণ সমস্যা এই স্কুলে! পড়ুয়াদের জন্য বাধ্য হয়েই এমন পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের
Drinking water problem: গরম পড়তে না পড়তেই জলস্তর নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গায়। সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়েও সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না। পড়ুয়াদের তৃষ্ণা নিবারণে বাধ্য হয়েই এখন এই উপায় অবলম্বন করতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Drinking water problem: গরমের শুরুতেই জলস্তর নেমে গিয়েছে। ফলে এলাকার অনেক জায়গাতেই নলকূপ বা সাব মার্সিবল পাম্পেও জল মিলছে না। এমনই পরিস্থিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। পানীয় জল মিলছে না কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলের কলেও। ফলে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে জারবন্দি জল কিনতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
Advertisment
কুলতলির (Kultali) এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা হাজার তিনেক। স্কুল সূত্রের খবর, স্কুলে দু'টি সাব মার্সিবল পাম্প (Submersible pump) রয়েছে। তা থেকেই পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হত। কিন্তু গরম বাড়তেই জলস্তর নেমে গিয়েছে। ফলে সাব মার্সিবল পাম্পে জল উঠছে না। কয়েকদিন ধরেই চলছে এই সমস্যা। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের জন্য জারবন্দি জল কেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৩৫টি কুড়ি লিটারের বড় জার কেনা হয় বলে স্কুল সূত্রের খবর। সেখান থেকেই জল পান পড়ুয়াদের।
প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন, "স্কুলে একাধিক সাব মার্সিবল পাম্প রয়েছে। কিন্তু ক'দিন ধরেই কোনও পাম্পে ঠিক মত জল উঠছে না। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে জল কিনতে হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। রোজ গড়ে হাজার দু'য়েক পড়ুয়া উপস্থিত থাকে। জল না থাকলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সামগ্রিকভাবে এলাকার জলস্তরও নেমে গিয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ করা।"
এবিষয়ে কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ওই স্কুল-সহ অন্যান্য স্কুলেও জলের সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।"